বর্ধমান কর্ড লাইনে বন্ধ থাকছে একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন। — ফাইল ছবি।
এক দিকে একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল, অন্য দিকে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে সাঁতরাগাছি সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। সব মিলিয়ে দুর্ভোগে যাত্রীরা। এই দুর্ভোগ কমার সম্ভাবনা নেই এখনই। কারণ, সাঁতরাগাছি সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হয়েছে। যদিও খাতায়কলমে শুক্রবার রাত ১২টা (দিন হিসাবে শনিবার) থেকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার কথা, কিন্তু নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, শুক্রবার সকাল থেকেই যানজট সেতুতে। কলকাতামুখী রাস্তায় তীব্র যানজটের ফলে সমস্যা বেড়েছে অফিসযাত্রীদের। বর্ধমান বা আসানসোল থেকে কলকাতায় আসতে গিয়ে যেমন যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন, তেমনই দুর্ভোগ বাড়ছে কলকাতা থেকে বর্ধমান বা আসানসোল যাওয়ার ক্ষেত্রেও।
পরিস্থিতি জটিল হয়েছে বর্ধমান কর্ড লাইনে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হওয়ার জন্য। টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে কয়েকটি লোকাল ট্রেন। বারুইপাড়া-চন্দনপুরের চতুর্থ লাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জেরেই বাতিল হয়েছে এই সব ট্রেন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ দিনে সাত জোড়া অর্থাৎ ১৪টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কিছু ট্রেন ডানকুনির বদলে ব্যান্ডেল দিয়ে ঘোরানো হবে। যদিও দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়নি।
কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেগুলির মধ্যে ১২৩৭০ দেহরাদূন-হাওড়া কুম্ভ এক্সপ্রেস ব্যান্ডেল দিয়ে যাবে। ওই ট্রেনটি বর্ধমান থেকে রাত ১টা ২৫ মিনিটে ছাড়বে। এ ছাড়া, ১২৩২৮ দেহরাদূন-হাওড়া উপাসনা এক্সপ্রেস, ১৫২৩৬ দারভাঙা-হাওড়া এক্সপ্রেস, ১৩১৪৮ উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস এবং ১৫২৩৪ দারভাঙা-কলকাতা এক্সপ্রেস রয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল।
প্রসঙ্গত, হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা এমনিতেই কম। তার মধ্যে সোম থেকে শনিবার প্রত্যেক দিন গড়ে দু’টি লোকাল ট্রেন, একটি আপ এবং একটি ডাউন বাতিল করায় যাত্রীরা সমস্যায় পড়বেন। বর্ধমান থেকে কলকাতা বা কলকাতা থেকে বর্ধমান পৌঁছতে গেলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে যাত্রীদের।
অন্য দিকে, পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার খাটকুড়া প্যাসেঞ্জার হল্ট স্টেশনে ওভারব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার জন্য ২২ নভেম্বর বাতিল করা হবে এক জোড়া লোকাল ট্রেন। তা ছাড়াও কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy