সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির এজলাসে আরজি কর মামলার শুনানি। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারেরা কি কাজে ফিরেছেন?’’ জবাবে জুনিয়র ডাক্তারের পক্ষের আইনজীবী জানান, সকলেই কাজে ফিরেছেন। তা মানল রাজ্যও। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘হ্যাঁ, সাত জন যাঁরা অনশন করছেন, তাঁরা বাদে সকলেই কাজে ফিরেছেন।’’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ১ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। সব হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।’’
রাজ্যের মেডিক্যালগুলিতে সিসিটিভি বসানো, শৌচালয়, রেস্টরুম ইত্যাদি কাজ কত দূর এগিয়েছে, সে সম্পর্কে তথ্য জমা দিয়েছে রাজ্য। সেখানে রাজ্য উল্লেখ করেছে, এই কাজের জন্য হাজার কোটির বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক কাজ হয়ে গেছে। বাকি কাজ ২৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আর আরজি করের কাজ শেষ হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। রাজ্য ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তার বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ চিকিৎসকদের আইনজীবীরা।
আদালতে রাজ্য জানাল, আরজি কর মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তাই সেই মেডিক্যাল কলেজে কাজ করতে গেলে প্রয়োজন সিবিআইয়ের অনুমতি। সেই অনুমতি পাওয়ার পরই কাজ শুরু করা হয়। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আরজি করের সব কাজ শেষ হবে।
সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল রাজ্যের হলফনামা। সেই হলফনামা পড়ছে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ।
আরজি কর মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা পড়েছে শিয়ালদহ আদালতে। মঙ্গলবার সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্টে সেই চার্জশিটের কথা উল্লেখ রয়েছে। এমনকি, চার্জশিটের কপিও জমা দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আদালতে সিবিআই জানায়, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া আর কেউ এই ধর্ষণ-খুন মামলায় জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘টাস্ক ফোর্স কী করছে?’’ সলিসিটর জেনারেল জানান, তারা এ ব্যাপারে হলফনামা জমা দিয়েছেন। তা পড়ে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘৯ সেপ্টেম্বর শেষ বার টাস্ক ফোর্স বৈঠক করেছিল। তার পর আর কোনও বৈঠক করেনি?’’ তুষার জানান, তার পর কোনও বৈঠক হয়নি। এক মাসের বেশি সময় কেন কোনও বৈঠক হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল বলেন, ‘‘আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সিবিআই আধিকারিকেরা। নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘রিপোর্টে উল্লেখ আছে।’’
তদন্তের অগ্রগতি কেমন, জানতে চান প্রধান বিচারপতি। তার পরই সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সেই রিপোর্ট পড়ছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
টাস্ক ফোর্স নিয়ে হলফনামা জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বসল। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই শুরু হবে আরজি কর মামলার শুনানি।
আদালত সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর ২টোয় মামলাটি শুনবে আদালত। গত ৩০ সেপ্টেম্বরও এই মামলার শুনানির ছিল দুপুর ২টোয়। তবে তার আগে আগে পর্যন্ত যত বার মামলাটি উঠেছে শীর্ষ আদালতে, প্রতি বারই তালিকার প্রথমে স্থান পেয়েছিল আরজি কর মামলা। সকাল সাড়ে ১০টায় আদালত বসলে শুনানির জন্য প্রথম দিকেই ডাক পড়েছিল এই মামলাটির।
জুনিয়র ডাক্তারেরা ঠিক মতো সব পরিষেবার কাজ করছেন কি না, সেই নিয়েও ফের প্রশ্ন তুলতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। গত শুনানিতেও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ ছাড়াও, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ কত দূর এগোল, সেই প্রশ্নও উঠতে পারে। গত শুনানিতেও নয়া ডিউটি রুম এবং শৌচাগার নির্মাণ, সিসিটিভি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত আলো ইত্যাদি বসানোর কাজ কত দূর এগিয়েছে, সে নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি আরও একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে শুনানিতে। আরজি কর কাণ্ডের পর গড়া ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের কাজ কত দূর এগোল, মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইতে পারে শীর্ষ আদালত।
মঙ্গলবার আলোচনা হতে পারে সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে। পঞ্চম শুনানিতেও তদন্ত প্রক্রিয়া কত দূর এগোল তা সিবিআইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুনানিতে কেন্দ্রীয় দলের থেকে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ দেখতে চান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ফলে ওই ঘটনার তদন্ত কত দূর এগোল, মঙ্গলবার তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিতে পারে সিবিআই।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। এই নিয়ে শীর্ষ আদালতে ষষ্ঠ শুনানি। মামলাটি শুনবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ। আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা শোনার ভার নেয়। তার পর থেকেই শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy