সৈকতে বিক্রি হচ্ছে মদ।
সৈকতে নিরাপত্তায় বরাবরই জোর দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো দিঘায় কঠোর হয়েছে নজরদারি। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরেও দেখা গিয়েছে কড়া নিরাপত্তার ছবি। কিন্তু কোথাও যেন ‘দুয়োরানি’ হয়ে রয়েছে দিঘা লাগায়ো আর এক সৈকত উদয়পুর। কয়েক কিলোমিটার দূরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেও এ দিন উদয়পুরের সৈকতে প্রকাশ্যেই চলল হুঁকো এবং মদ্যপান।
এ দিন ওল্ড দিঘার অতিথিশালায় ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে মেরেকেটে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাংলা-ওড়িশা সীমানায় উদয়পুর। দিঘার মতোই প্রতিদিন সেখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে। অথচ এ দিন সেখানে দেখা গেল, সৈকতেই বসেছে মদের আসর। কয়েকটা প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিল আর মাথার উপর একটা বড় ছাতা রেখে একাধিক ‘মদের দোকান’ খোলা হয়েছে। কোথাও হুঁকোতেও সুখ টান দিচ্ছে পর্যটকেরা। এটা অবশ্য এখানকার রোজকার ছবি বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয় দোকানদারেরা।
উল্লেখ্য, বছর কয়েক আগে পূর্ব মেদিনীপুর সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী আচমকা ঘুরে গিয়েছিলেন উদয়পুরে। তারপর এখানে দিঘার ধাঁচে পর্যটকদের বসার জন্য কংক্রিটের আসন বানানো হয়েছে। রয়েছে নজরদারির জন্য ওয়াচ টাওয়ার। কিন্তু তাতেও যে কিছু হয়নি, তা জানাচ্ছেন স্থানীয়েরাই।
বিকেলে অবশ্য ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের টহলদারি ভ্যান দেখা গেল। তাতে রয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। পুলিশের উপস্থিতিতেও কীভাবে ব্যবসা চালাচ্ছেন! প্রশ্ন শুনে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘এখানে এসব ব্যবসা করার নিয়ম নেই। তবে পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা রেখে ব্যবসা করি।’’ এক ফল বিক্রেতা বলেন, ‘‘মাঝেমধ্যে দুই রাজ্যের পুলিশ অভিযান চালায়। তাতে সাময়িক ধরপাকড় হয়। তবে অভিযানের আগাম খবর মদ কারবারীদের কাছে পৌঁছে দেয় পুলিশিই।’’
মুখ্যমন্ত্রী যখন দিঘায়, তখন উদয়পুরের এই ছবি আশা করেননি পর্যটকদের একাংশও। এক পর্যটকের কথায়, ‘‘দিঘায় কত কড়াকড়ি। এখানে তো কিছুই নেই। প্রকাশ্যেই মদের আসর।’’ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অরবিন্দ আনন্দের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সফরের দায়িত্বে ব্যস্ত। এ ব্যাপারে পরে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy