পদ আছে। কিন্তু সেই পদে স্থায়ী কর্মী নেই। কয়েক বছর ধরে শিক্ষানবিশদের দিয়েই চলছে কাজ। ফলে কাজ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার আলো বিভাগের দশা এমনই।
পুরসভা সূত্রের খবর, গত কয়েক বছর ধরে এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে স্থায়ী লোক নেই। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে কোনও মতে চলছে কাজ। অবস্থা সামাল দিতে অন্য দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদেরও সহযোগিতা নিতে হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, এই বিষয়টি রাজ্য প্রশাসনের নির্দিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে। কোনও বড় প্রকল্পের প্রস্তাবিত বাজেট তৈরি করতে এবং বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করতে সমস্যা হচ্ছে। পুরসভার এক কর্তা জানান, একাধিক বার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কেএমডিএ-র প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করতে গিয়ে সময় লেগে যাচ্ছে। পুরসভার কর্মীদের একাংশের কথায়, সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সহযোগিতা ছাড়া আলোর বাজেট তৈরিতেও সমস্যা হচ্ছে। জোড়াতালি দিয়ে দৈনন্দিন পরিষেবা হয়তো সামাল দেওয়া যায়, কিন্তু ভবিষ্যতের স্বার্থে দ্রুত এর মীমাংসা করা প্রয়োজন। এক পুরকর্তা জানান, বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যেরা সম্প্রতি দক্ষিণ দমদম পুরসভায় এসেছিলেন। কাজ কী ভাবে পরিচালনা হচ্ছে, কোথায় সমস্যা হচ্ছে, সে সব খোঁজ নিতেই আসা। সেই পর্যালোচনায় পুরসভা জানিয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ওই পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (আলো) পার্থ বর্মার দবি, ‘‘পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনও বিঘ্ন তো ঘটেনি। কাজ যথাযথ ভাবে চলছে। এটা ঠিক যে কয়েকটি পদে স্থায়ী লোক নেই। তা সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানানো হয়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)