কলকাতায় ঘাটতি বৃষ্টির। — ফাইল চিত্র।
বর্ষা প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে আগামী সপ্তাহেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। সারা সপ্তাহ ধরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাতে যদিও বৃষ্টির ঘাটতি মিটবে না। ১ জুন থেকে কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতি ৪২ শতাংশ। দক্ষিণে সব থেকে বেশি বৃষ্টির ঘাটতি নদিয়ায়। সেখানে ১ জুন থেকে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল, তার থেকে ৫৬ শতাংশ কম হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজ্যের উপর নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন বিহারে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পাশাপাশি, সক্রিয় রয়েছে মৌসুমf বায়ু। তার প্রভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে। তার পরেও দক্ষিণের সব জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি থেকেই থাচ্ছে। ১ জুন থেকে উত্তর ২৪ পরগনায় ঘাটতি ৫৫ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টির ঘাটতি ৫৪ শতাংশ। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫০ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫২ শতাংশ, ঝাড়গ্রামে ৫১ শতাংশ, পূর্ব বর্ধমানে ঘাটতি ৪৭ শতাংশ। মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির ঘাটতি ৪৬ শতাংশ, বীরভূমে ৪২ শতাংশ, হুগলিতে ৩৪ শতাংশ। উত্তরবঙ্গে একমাত্র উত্তর দিনাজপুরেই বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। সেখানে ১ জুন থেকে বৃষ্টির ঘাটতির হার ৩৭ শতাংশ। এ দিকে কোচবিহারে ১ জুন থেকে ১০২ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে ৮৪ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। জলপাইগুড়িতে ৪৬ শতাংশ, দার্জিলিঙে ৩৯ শতাংশ, কালিম্পঙে ৩৩ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ৪৬ শতাংশ, মালদহে ৪৩ শতাংশ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩৩ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে।
আগামী শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হবে বিক্ষিপ্ত ভাবে। জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হবে না। কোনও জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়নি। উত্তরবঙ্গের সব জেলায় চলতি সপ্তাহে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার উত্তরের আট জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি (৭-১১ সেন্টিমিটার) হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy