প্রতীকী ছবি।
কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য জনসভাতেও হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রোগী প্রত্যাখ্যান বন্ধ হয়নি। অনুরোধ-হুঁশিয়ারিতে কিছু বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমের হুঁশ না-ফেরায় এ বার আইন প্রয়োগ করে প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে: ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট আইনের (২০১৭) সাত নম্বর ধারার তিন নম্বর উপধারায় বলা আছে, কেন্দ্র বা রাজ্যের যে-কোনও সরকারি প্রকল্পে সব বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণ, বহু জায়গাতেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে শয্যা খালি নেই কিংবা তাঁদের প্রতিষ্ঠান ওই প্রকল্পের আওতায় নেই বলে দাবি করছেন কিছু বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা জানান, নির্দেশিকায় ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট আইনের উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, ১০টির বেশি শয্যার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যুক্ত হওয়া কখনওই ঐচ্ছিক হতে পারে না। বরং এই প্রকল্পে তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। এর পরেও যে-সব বেসরকারি হাসপাতালে ওই পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ আসবে, তাদের ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট লাইসেন্স নবীকরণ বন্ধ হয়ে যাবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে লাইসেন্সও বাতিল করে দিতে পারে সরকার।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, এত দিন বহু হাসপাতাল হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত না-করায় সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “বার বার অনুরোধেও কাজ না-হওয়ায় আইনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। সেটাই এ বার সরকারি ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল।” স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যাখ্যা, কড়া ব্যবস্থার বিষয়ে সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়ায় কোনও বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আর কোনও আইনি জটিলতা থাকছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy