প্রতীকী ছবি।
কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচির জন্য প্রতীক্ষা জারি থাকছে। তার পাশাপাশি এ বার উৎসবের মরসুমেই পথে নেমে পড়ছে বামেরা। রাজ্যে ভোটের মরসুম আসতে দেরি নেই। তাই এ বার উৎসবে দীর্ঘ বিরতি না নিয়ে দ্রুত পথে নামার সিদ্ধান্ত। কলকাতায় বামেদের বড় মিছিল হবে লক্ষ্মী পুজোর পরেই।
আগামী ২৬ নভেম্বর শ্রমিক সংগঠনগুলি সর্বভারতীয় ধর্মঘট ডেকেছে। কৃষক সংগঠনগুলি ওই দিনই এ রাজ্যে গ্রামীণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সেই ধর্মঘটের সমর্থনে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ৩ নভেম্বর, মঙ্গলবার পার্ক সার্কাসে লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজের সামনে জমায়েত ও সভা করে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করবে বামফ্রন্ট ও সহযোগী দলগুলি। কালীপুজোর পরে আগামী ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর নানা স্থানীয় বিষয় নিয়ে ব্লক ও পুরসভা স্তরে কর্মসূচি চলবে। জেলা স্তরের দাবি-দাওয়ার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিষয়গুলি যোগ করে জেলায় জেলায় কর্মসূচি হবে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর। জেলার কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার জন্য কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বকেও আবেদন জানাবে বামেরা।
পুজোর মধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্বের বৈঠক হয়েছিল। সেখানে অধীরবাবু জানিয়েছিলেন, এআইসিসি-র দেওয়া কিছু দলীয় কর্মসূচি পালন করতে হবে বলে তাঁরা আপাতত যৌথ মিছিল বা সভায় থাকতে পারবেন না। আর তাঁরা এর পর থেকে যৌথ কর্মসূচির পরিকল্পনা ধরে এগোতে চান, তাঁদের তরফে যার খসড়া শীঘ্রই পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রদেশ সভাপতি। বাম সূত্রের খবর, আলিমুদ্দিনে বুধবার বাম ও সহযোগী দলগুলির বৈঠকে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়ে বলেন, এই কারণে তাঁদের ইচ্ছা থাকলেও ৩ তারিখের মিছিলে কংগ্রেসকে পাওয়া যাবে না। যৌথ কর্মসূচির বিষয়ে কংগ্রেসের খসড়ার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। বৈঠকে বাম নেতাদের একাংশ অবশ্য প্রস্তাব দিয়েছেন, পূর্ণ মাত্রায় না হলেও ৩ তারিখের মিছিলে প্রতীকী অংশগ্রহণের জন্য বিমানবাবু ফের কংগ্রেসকে অনুরোধ করুন। যৌথ আন্দোলনের জন্য না হয় ফের কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনাও হোক।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, লক্ষ্মী পুজো পেরোনোর আগে তাদের তরফে খসড়া কর্মসূচি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। দিল্লিতে সংসদীয় কমিটির বৈঠকের ফাঁকে অধীরবাবুর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্যের এই নিয়ে এক প্রস্ত কথাও হয়েছে। কলকাতায় ফিরে প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘বামেদের সঙ্গে মিলে রাজ্যের মানুষকে তৃণমূল ও বিজেপির বিকল্প আমাদের দিতেই হবে। কালক্ষেপ না করে যৌথ আন্দোলন, কর্মসূচি যত হবে, তত ভাল।’’ সিপিএমের পলিটব্যুরোর সাম্প্রতিক বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টিতে ফের সিলমোহর পড়েছে। এই পদক্ষেপকেও স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এর পরে ৩০ ও ৩১ অক্টোবর অনলাইন বৈঠক রয়েছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy