তিস্তা শেতলবাদের মুক্তির দাবিতে বামেদের মিছিল নিজস্ব চিত্র।
সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের মুক্তির দাবিতে পথে নামল বামফ্রন্ট। ‘ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগে’ তিস্তাকে অন্যায় ভাবে আটক করা হয়েছে, এই অভিযোগকে সামনে রেখেই নাগরিক মিছিলের ডাক দিয়েছিল বামেরা। বৃষ্টির মধ্যেও রবিবার পার্ক সার্কাস থেকে এন্টালি পর্যন্ত মিছিলে যা সাড়া পাওয়া গিয়েছে, তাতে বাম নেতৃত্ব উৎসাহিত।
গুজরাত দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ছাড় দেওয়ার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন নিহত কংগ্রেস সাংসদ এহসান জা়ফরির স্ত্রী জ়াকিয়া ও তিস্তা। সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন নাকচ করার পাশাপাশিই তিস্তার ভূমিকার সমালোচনা করেছে। তার পরেই গুজরাত পুলিশের এটিএস তিস্তাকে আটক করে। সমাজকর্মী তিস্তার বিরুদ্ধে এই ‘প্রতিহিংসা’র প্রতিবাদ করে এ দিন শহরে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, মনোজ ভট্টাচার্য, প্রবীর দেবেরা। সেলিম বলেন, ‘‘মুম্বই দাঙ্গা, গুজরাতের গণহত্যার পরে অনেক বছর ধরে বিচারের দাবিতে লড়াই করছেন তিস্তা এবং আরও অনেক মানুষ। তিস্তা বামফ্রন্টের কর্মী ছিলেন না। তাঁর মুক্তির দাবিতে আমাদের দাবিতে মানুষ যে সাড়া দিয়েছেন, সেটাই আরও লড়াই চালিয়ে যেতে উৎসাহ জোগাবে।’’ বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, গুজরাতের ঘটনায় পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা কোনও ভাবেই নিরপেক্ষ নয়। তাঁদের মতে, সুপ্রিম কোর্ট মোদীকে ছাড় দিয়েছে মানেই সব রক্তের দাগ মুছে গেল, এমনও নয়! তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিনের মিছিলে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রথম সারির কোনও নেতাকে দেখা না গেলেও আলি ইমরান রাম্জের (ভিক্টর) নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধদের ‘আজাদ হিন্দ মঞ্চ’ শামিল হয়েছিল। বিমানবাবুকে ভিক্টরেরা জানিয়েছেন, তাঁরা বামফ্রন্টের সঙ্গে থেকেই চলতে চান। শহরে বিভিন্ন বাম দলের আরও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাকও দেওয়া হয়েছে।
তিস্তা-সহ আরও যাঁদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মুক্তির দাবিতে গণ-আন্দোলনের ডাক দিয়ে এসইউসি-র সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষও এ দিন বলেছেন, ‘অসংখ্য মানুষের হত্যালীলায় সরাসরি জড়িত থাকার দায় থেকে নরেন্দ্র মোদী সুপ্রিম কোর্টে রেহাই পেতে পারেন, কিন্তু জনগণের বিবেকের আদালতে তিনি বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ইতিহাসে অপরাধী হিসাবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবেন’।
রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় আবার এ দিনই তিস্তা নদীর অনুষঙ্গে একটি ঘটনার উল্লেখ করে ‘পেত্নী’ বলে সমাজকর্মী তিস্তাকে বোঝাতে চেয়েছেন। তাঁর ওই টুইটে নেটিজেনরাই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তৃণমূলের নেতা তাপস রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এক জন মহিলা সম্পর্কে এমন শব্দ যিনি ব্যবহার করেন, তাঁর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেওয়াও আমাদের রুচি বহির্ভূত!’’ একই সুরে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘যাঁদের যেমন রুচি এবং সংস্কৃতি, তাঁদের তেমনই বক্তব্য। এই নিয়ে প্র্রতিক্রিয়া দিতেও রুচিতে লাগে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy