সাংবাদিক বৈঠকে আব্বাস সিদ্দিকি। নিজস্ব চিত্র।
বামদের সঙ্গে আসন নিয়ে সমঝোতা হয়ে গেলেও বাকি রয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া। বামেরা পছন্দ মতো আসনই ছেড়েছে বলেও শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট(আইএসএফ)-এর আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি জানান, বামেরা আইএসএফ-কে ৩০টি আসন ছেড়ে দিয়েছে। আরও ৪-৫টি আসন নিয়ে কথা চলছে। বামেদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হলেও কংগ্রেসের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর পাননি বলে জানান আব্বাস। সবাই যাতে এক জোট হয়ে লড়তে পারেন সে কথা জানিয়ে কংগ্রেসকে চিঠি লিখেছে আইএসএফ। তাদের থেকে উত্তরের অপক্ষায় রয়েছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছেন আব্বাস। তিনি বলেন, “বামেদের সঙ্গে আমাদের সমস্যা মিটেছে। কংগ্রেসের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। তবে মানুষের স্বার্থে মহাজোট করা উচিত।’’ শুধু তাই নয়, ভোট যাতে ভাগভাগি না হয় সেই দিকটাও দেখা উচিত বলে মনে করেন আব্বাস।
তিনি বলেন, “ব্রিগেড আমাদের একটা বড় স্বপ্ন। একটা মহাজোটের পথে আমরা অনেকটাই এগিয়েছি। আমাদের দলের অনেকেই বলেছেন একটা বড় প্ল্যাটফর্মে এলে ভাল হয়। আমিও চিন্তাভাবনা করে দেখলাম ২৮ ফেব্রুয়ারি সকলের আশীর্বাদ পেলে ভাল হয়।” তাই ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সকলে যেন আসেন সেই আহ্বান জানিয়েছেন সিদ্দিকি। তৃণমূল এবং বিজেপি হটাতে এই জোটটা যে জরুরি শুক্রবার ফের সেই বার্তা দেন আব্বাস। ৬০-৭০টা আসন চেয়েছিল আইএসএফ। তার মধ্যে বামেরা ৩০টা ইতিমধ্যেই দিয়েছে। বাকি যে আসনগুলো রয়েছে তা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন আব্বাস। তাঁর কথায়, “আমরা চাই জোটটা হোক। কতটা কী হয় এখন সেটা সময়ই বলবে।”
জোট হলে সেটা সর্বত্রই হওয়া দরকার বলেই মনে করে আব্বাস। তাঁর কথায়, “দক্ষিণবঙ্গে হবে, উত্তরবঙ্গে হবে না, এটা আমরা চাই না।” তবে যত তাড়াতাড়ি এই জোট নিয়ে সমস্যা মিটে যায় তা নিয়ে আইএসএফ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আবারও কংগ্রেসকে চিঠি দিয়ে বিষয়টা জানানো হয়েছে বলে জানান আব্বাস। তাঁর কথায়, “মানুষের স্বার্থে যদি আমরা রাস্তায় হাঁটতে পারি, যদি ধুলোয় বসতে পারি, তা হলে মানুষের স্বার্থে এই জোটও হওয়া উচিত। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
নন্দীগ্রামে কি তাঁরা প্রার্থী দেবেন? এ প্রসঙ্গে আব্বাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের মানুষ আমাদের চাইছেন। আর সে জন্য সেখানে আসন দিতে চাইছি। তবে এ বিষয়টিও আলোচনার টেবিলে রয়েছে।” ফুরফুরা শরিফে মমতার ধর্মীয় সভা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন আব্বাসকে। মমতা যে সেখানে আসছেন এ কথা জানা নেই বলেই মন্তব্য করেন তিনি। এর পরই আব্বাস বলেন, “ফুরফুরা শরিফ সকলের। যে কেউ আসতেই পারেন। তবে দশ বছর ধরে যে নাটক করেছেন, সেই নাটকটা যেন না করেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy