কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল।—নিজস্ব চিত্র।
মুখে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দিয়ে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির নামে শিক্ষায় বৈষম্য বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই রকম একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে রেখে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের বর্ষপূর্তির দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামল বাম ও কংগ্রেস। রাজ্য জুড়ে যৌথ এবং আলাদা ভাবে তারা শামিল হল প্রতিবাদে। এরই মধ্যে কলকাতায় হাজরা মোড়ে কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির জেরে উত্তেজনা ছড়াল।
মূলত শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে রবিবার ‘দেশ বাঁচাও’ কর্মসূচি নিয়েছিল বামেরা। অন্যান্য গণ-সংগঠনও তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। কৃষকদের ঋণমুক্তি, ফসলের ন্যায্য দাম, ‘কৃষক-বিরোধী’ অধ্যাদেশ বাতিল-সহ নানা দাবিতে কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির ডাকে ‘কৃষি বাঁচাও’ কর্মসূচিও ছিল এ দিন। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শ্রমিক ও কৃষক সংগঠন পথে নেমেছিল। কলকাতায় মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির কাছে বিক্ষোভ জমায়েতে ছিলেন সিটুর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ইউটিইউসি-র অশোক ঘোষ এবং আইএনটিইউসি-র কামারুজ্জামান কামার প্রমুখ।
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এ দিন হাজরা মোড়ে জমায়েত করেছিল দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, ইন্দিরা ও রাজীব গাঁধীর মূর্তিতে মালা দিয়ে কর্মসূচি শেষ করার মুখে কিছু পুলিশ-কর্মী কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করেন। দু’পক্ষে ধস্তাধস্তি বাধে। দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। আশুতোষ বলেন, ‘‘বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হল, মারধর করল তৃণমূল সরকারের পুলিশ!’’ প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও পুলিশের আচরণের নিন্দা করেছেন। হাজরা মোড় থেকেই অন্য একটি মিছিল করেন কংগ্রেসের প্রদীপ প্রসাদেরা। যুব কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসও ছিল এ দিন। বিধান ভবনে সেই উপলক্ষে বেকারদের জন্য রোজগারের দাবিতে রাজ্যে প্রচারের সূচনা করেছেন প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy