প্রতিবাদ কর্মসূচিতে কংগ্রেস ও বাম নেতারা।—নিজস্ব চিত্র।
একই সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে ফের যৌথ ভাবে পথে নামল বাম ও কংগ্রেস। করোনা এবং আমপান-পরবর্তী পর্যায়ে মানুষের দুর্দশা দুই সরকারের হাতেই আরও বাড়ছে, এই অভিযোগকে সামনে রেখেই এখন টানা কর্মসূচি নিচ্ছে তারা।
করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতে বাম ও কংগ্রেসের কর্মসূচি এখন হচ্ছে প্রথাগত জায়গার বাইরে অন্যত্র। বিড়লা তারামণ্ডলের কাছে হো চি মিন মূর্তি চত্বরে মঙ্গলবার সেই রকমই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বাম নেতা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, নরেন চট্টোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তীরা। পেট্রল ও ডিজেলের ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধি, বেসরকারি হাতে ট্রেন তুলে দেওয়া, কয়লা-সহ নানা ক্ষেত্রে ঢালাও বেসরকারিকরণের প্রশ্নে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তোলেন তাঁরা। আমপান-এর পরে ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁরা সরব হন রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশিই প্রদীপবাবুদের দাবি, বাম ও কংগ্রেস একসঙ্গে রাস্তায় নামছে বলেই বিজেপি এবং তৃণমূলের রাজনৈতিক বিকল্প রাজ্যে দানা বাঁধছে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যবাবু এ দিন বলেন, ‘‘অর্থনৈতিক ভাবে মানুষ বিপর্যস্ত। তার উপরে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চেষ্টা চলছে। গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট হয়েই কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে।’’ কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপবাবুর প্রশ্ন, ‘‘ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতিতে তৃণমূলে শো-কজ করা হচ্ছে। দলীয় স্তরে তারা কোনও ব্যবস্থা নিতেই পারে। কিন্তু যারা চুরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হবে না কেন?’’
বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব ঠিক করেছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে সিপিএম কর্মী দেবকুমার ভুঁইয়ার খুনের প্রতিবাদে তাঁরা একসঙ্গেই প্রশাসনের উপরে চাপ বাড়াতে যাবেন। খেজুরিতে কাল, বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে থাকার কথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর। জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের কাছেও যাওয়ার কথা তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy