ছবি: সংগৃহীত।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনে যৌথ মুলতবি প্রস্তাব এনেছিল বাম এবং কংগ্রেস। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিয়ে আলোচনার অনুমতি দেননি। এমনকি, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রস্তাব পাঠ যখন শেষ পর্যায়ে, তখন তিনি তা পড়া বন্ধ করিয়ে দেন। প্রতিবাদে হইচই করেন বাম এবং কংগ্রেস বিধায়করা। পরে সাংবাদিকদের কাছে বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান প্রশ্ন তোলেন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের কি কোনও সমঝোতার খেলা চলছে? না হলে বিধানসভা অধিবেশনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হল না কেন?’’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য ওই সমঝোতার প্রশ্ন অবান্তর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
মান্নানের ব্যাখ্যা, ‘‘আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমলেও আমাদের দেশে সেই দাম বাড়ছে। রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি চুপিচুপি চোরের মতো তুলে নেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে আলোচনায় তো কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে কথা উঠত। সরকার পক্ষও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বলতে পারত। তাও বলতে দিল না। আসলে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির ভয় কি না, কে জানে?’’ সুজনবাবুও মান্নানের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন।
বাম এবং কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, মুলতবি প্রস্তাব বা বেসরকারি প্রস্তাব— কোনও ভাবেই বিধানসভা অধিবেশনে জনস্বার্থের বিষয়গুলি নিয়ে তাদের আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সুজনবাবু জানান, এনআরসি-সহ পাঁচটা বিষয় তাঁরা জমা দিয়েছেন। কিন্তু ফাঁকা সময় থাকা সত্ত্বেও তার একটি নিয়েও তাঁদের আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি।
বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে পার্থবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের সঙ্গে বিজেপির সমঝোতার অভিযোগ অর্থহীন। বিধানসভা খুললেই বাম এবং কংগ্রেস এই ধরনের আলোচনার দাবিতে অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা করে। গঠনমূলক ভূমিকা ওদের থাকে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy