প্রতীকী ছবি।
আয়কর বিভাগের আরও এক কর্তাকে নোটিস পাঠাল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া একটি দুর্নীতি মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ নম্বর ধারা অনুযায়ী ওই কর্তাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর আগে নীরজকুমার সিংহ নামে এক আয়কর কর্তাকে কয়েক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন গোয়েন্দারা। তিনি এই মামলায় সরাসরি অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছেন বলে সূত্রের দাবি।
এই মামলায় আর এক অভিযুক্ত গোবিন্দ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তিকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছে। গোবিন্দ আগরওয়ালের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী এ দিন আদালতে জানান, ২০১৭ সালে গোবিন্দ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের তদন্তে তাঁর মক্কেল সব রকম সাহায্য করে এসেছেন। ওই সময়ে ‘সার্চ এবং সিজার লিস্টের’ তদন্তও শেষ। শুধু তাই নয়, ছ’বার তলব করা হয়েছিল এবং প্রতি বারই তাঁর মক্কেল উপস্থিত থেকে সব উত্তর দিয়েছেন। তার পরেও কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ গোবিন্দবাবুকে গ্রেফতার করে। তিনি আরও জানান, গোবিন্দবাবু মুখের ক্যানসার ছাড়াও একাধিক জটিল অসুখে ভুগছেন।
ফলে পুলিশি হেফাজত বা জেল হেফাজতে পাঠালে তাঁর সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। এই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক ব্যক্তিগত কুড়ি হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত জানিয়েছে, গোবিন্দবাবুকে বাড়িতেই থাকবেন এবং ভবিষ্যতে পুলিশের তদন্তে সবরকম ভাবে সাহায্য করতে হবে। সরকারি কৌঁসুলি তমাল মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, মামলাটি তিন বছরের পুরনো হলেও গোয়েন্দা দফতরের হাতে গিয়েছে মাত্র এক মাস। ফলে তদন্তের স্বার্থে গোবিন্দ আগরওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। জেরায় আরও কিছু নাম মিলতে পারে। তবে জামিনের বিষয়টি তিনি আদালতের বিবেচনার উপরে ছেড়ে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy