Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

অনুমতি ছাড়াই খেজুরিতে ভারতী, গোলমাল থামাতে গিয়ে নিগৃহীত কাঁথি মহিলা থানার ওসি

বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কাঁথির এসডিপিও সৈয়দ মহম্মদ মামদোদুল হাসান, খেজুরি থানার ওসি গোপাল পাঠক,  এক মহিলা পুলিশকর্মী-সহ আট জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।

নিগ্রহ: বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা ধাক্কা দিচ্ছেন কাঁথি মহিলা থানার ওসিকে। —নিজস্ব চিত্র।

নিগ্রহ: বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা ধাক্কা দিচ্ছেন কাঁথি মহিলা থানার ওসিকে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খেজুরি শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯ ০২:৫৩
Share: Save:

সরকারি অনুমতি ছিল না। তার পরেও জোর করে খেজুরির কণ্ঠীবাড়ি এলাকায় বুধবার ঢুকতে গিয়েছিলেন লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী ও নেত্রী ভারতী ঘোষ। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আর তাতেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত হলেন কাঁথি মহিলা থানার ওসি। অভিযোগ, তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। ভারতীর প্ররোচনাতেই তাঁর উপরে আক্রমণ হয়েছে বলে ওসি অনুষ্কা মাইতি জানিয়েছেন। রাতে হেঁড়িয়া থানায় ভারতীর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি।

বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কাঁথির এসডিপিও সৈয়দ মহম্মদ মামদোদুল হাসান, খেজুরি থানার ওসি গোপাল পাঠক, এক মহিলা পুলিশকর্মী-সহ আট জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি। এ দিন গোলমালের মধ্যেই এক ফাঁকে পুলিশের বাধা এড়িয়ে ঘুরপথে খেজুরির কণ্ঠীবাড়িতে ঢোকেন ভারতী। সে জন্য পুলিশের তরফে একটি স্বতপ্রণোদিত ভাবে মামলাও করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, কণ্ঠীবাড়ি যাওয়ার জন্য বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ হেঁড়িয়ায় পৌঁছন ভারতী। পুলিশ বাহিনী তাঁকে বাধা দেয়। পুলিশের তরফে বলা হয়, সভার অনুমোদন নেই। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই কণ্ঠীবাড়িতে বিজেপি এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষের কয়েক জন কর্মী জখম হন। ভেঙেছিল পার্টি অফিস। এমনকি পুলিশের গাড়ি নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। তার পর শান্তি ফেরাতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসে।

ভারতী গেলে ফের এলাকা অশান্ত হতে পারে এই আশাঙ্কায় তাঁকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। ভারতী পাল্টা বলেন, ‘‘খেজুরিতে কি ১৪৪ ধারা জারি আছে? আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে আমি কি এক কাপ চা অথবা এক গ্লাস জল খেতে পারব না? পুলিশ শাসক দলের হয়ে দালালি করবে কেন ?’’

এর পরই তিনি গাড়ি থেকে নেমে হেঁড়িয়ায় রাস্তার পাশে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে বসে পড়েন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির কাঁথি জেলা সভাপতি তপন মাইতি। তাঁদের ঘিরে থাকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। সেই সময় সেখানে টহল দিচ্ছিলেন কাঁথি মহিলা থানার ওসি অনুষ্কা মাইতি। তাঁর অভিযোগ, “ভারতী ঘোষ আমাকে দেখেই বিজেপি কর্মীদের প্ররোচনা দেন। তার পরেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা তেড়ে আসে। আমাকে ঘিরে ধরে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। মারধর ও শ্লীলতাহানি করে।’’

নিজে প্রাক্তন পুলিশ হয়েও কী ভাবে তিনি এমন কাণ্ড করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ মহলে।

জেলার পুলিশ সুপার ভি সলোমন নেসাকুমার বলেন, ‘‘খেজুরির কণ্ঠীবাড়িতে সভার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিষয়টি লিখিত ভাবে সভার উদ্যোক্তাদের খেজুরি থানার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবু যারা এ দিন পুলিশকে বাধা দিল, হেনস্থা করল, মারধর করল, এমনকী মহিলা পুলিশের সঙ্গেও অশ্লীল আচরণ করল তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

তবে রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

Bharati Ghosh Kanthi BJP TMC Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy