(বাঁ দিকে) মিঠুন চক্রবর্তী এবং কুণাল ঘোষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। পাল্টা তৃণমূলের প্রশ্ন, নারী নির্যাতন নিয়ে মিঠুনের পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, সে ব্যাপারে অভিনেতার কী বক্তব্য? শুক্রবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সরাসরিই মিঠুনের কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘‘লোকে তো বলে এ সব থেকে বাঁচতেই আপনি অনেক কিছু করছেন।’’
শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন মিঠুন। তার মধ্যে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তাতে এ বার জেগে ওঠার সময় এসেছে। ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।’’ মিঠুনের সেই মন্তব্যেরই পাল্টা কুণাল বলেছেন, ‘‘উনি সন্দেশখালি নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন। বলছেন জেগে উঠুন। জেগে উঠেই বলছি। আপনি লোককে নারী নির্যাতন নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন, আপনার স্ত্রী এবং ছেলের বিরুদ্ধে যে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ ছিল, তা কী নিয়ে ছিল মিঠুন চক্রবর্তী?’’
উল্লেখ্য ২০২০ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি মিঠুনের পুত্র মহাক্ষয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং ধর্ষণের মামলা করেছিলেন করেছিলেন এক দিল্লিবাসী মডেল তথা ভোজপুরী অভিনেত্রী। মুম্বইয়ের ওশিওয়ারা থানায় দায়ের করা হয় সেই অভিযোগ। ওই এফআইআরে নাম ছিল মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালিরও। যোগিতার বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ এনেছিলেন মডেল অভিনেত্রী। কুণাল তাঁর আক্রমণে স্পষ্ট করে ঘটনাটির বিবরণ না দিলেও প্রশ্ন করেছেন, ‘‘আপনার স্ত্রী এবং ছেলের বিরুদ্ধে কে অভিযোগ করেছিল এবং কী অভিযোগ করেছিল? কেন তদন্ত চলছিল? কেন জটিলতা হচ্ছিল? বলুন সে কথা প্রকাশ্যে। তার পর সন্দেশখালি নিয়ে জ্ঞান দিতে আসবেন।’’
সম্প্রতি মিঠুন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সময় এই কুণালই তাঁর খবর নিয়েছিলেন, সুস্থতা কামনাও করেছিলেন। শুক্রবার মিঠুনকে আক্রমণ করতে গিয়ে কুণাল বলেছেন, ‘‘অভিনেতা মিঠুন নিশ্চিত ভাবে শ্রদ্ধেয়। কিন্তু রাজনীতিবিদ মিঠুন, সুবিধাবাদী মিঠুন, ধান্দাবাজ মিঠুন, দলবদলু মিঠুন, তাঁকে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। সন্দেশখালি নিয়ে কুৎসা করার আগে আপনি বলুন আপনার বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে কিসের অভিযোগ? লোকে তো বলে সেগুলো থেকে বাঁচতে আপনি অনেক কিছু করছেন।’’
কুণাল অবশ্য এখানেই থামেননি। মিঠুনের বিরুদ্ধ অভিযোগ প্রসঙ্গে টেনে এনেছেন, অ্যালকেমিস্ট এমনকি, সারদা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গও। কুণাল বলেছেন, ‘‘উনি নিজে অ্যালকেমিস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন। অ্যালকেমিস্টের থেকে টাকা নিয়েছেন। মিঠুন সারদারও বেনিফিশিয়ারি। যত দিন এই তদন্ত রাজ্য সরকারের হাতে ছিল, শ্যামল সেন কমিশনের হাতে ছিল, তিনি টাকা ফেরত দেননি। যখন ইডির কাছে গিয়েছে, সিবিআইয়ের কাছে গিয়েছে তখন বাঁচতে টাকা ফেরত দিয়েছেন। তার পর বিজেপির জুতো পালিশ করতে গিয়েছেন।’’ কুণালের প্রশ্ন, ‘‘এই মিঠুন চক্রবর্তীর কথা শুনব? কেন মিঠুন চক্রবর্তীকে সমন পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হবে না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy