শনিবার রায়দিঘির সভায় কুণাল ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
দলবদল করলেও সারদা বা অ্যালকেমিস্ট মামলায় রেহাই পাবেন না বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়। শনিবার এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের দাবি, শুভেন্দু-মুকুলের কাছে ভুঁইফোড় অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদা এবং অ্যালকেমিস্টের সমস্ত খবর রয়েছে। গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সিবিআইকে চিঠি দিয়েও জানিয়েছেন তিনি। সিবিআইয়ের কাছে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারেরও দাবি তুলেছেন কুণাল। যদিও বিজেপি-র পাল্টা দাবি, কুণাল মিথ্যা বলছেন।
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘিতে খাড়ি গুণসিন্ধু বালিকা বিদ্যাপীঠের মাঠে তৃণমূলের জনসভায় বক্তৃতা করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা, জেলা পরিষদের বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বাপুলি-সহ বহু নেতা। ওই সভা থেকেই শুভেন্দু এবং মুকুলকে আক্রমণ করেন তিনি। কুণালের দাবি, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের কাছে ভুঁইফোড় অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদা এবং অ্যালকেমিস্টের সমস্ত খবর রয়েছে। দলবদল করে রেহাই পাবেন না তাঁরা।’’
শুভেন্দু-মুকুলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি ছাড়াও তাঁদের সরাসরি চোর, ঘুষখোর, দালাল বলেও আক্রমণ করেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘তোমরা চোর, তোমরা ঘুষখোর, তোমরা দালাল, তোমরা চিটিংবাজ, তোমরা গিরগিটি, তোমরা ক্ষমতালোভী। আমি অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছি। কোর্টে এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমি সিবিআই ডিরেক্টরকেও চিঠি দিয়েছি। তারা যেন শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কে অবিলম্বে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে। মুকুল রায়কে কলার ধরে জেলের মধ্যে রাখলে তবেই তদন্ত এগোবে।’’
কুনালের এই দাবির বিরুদ্ধেও পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিজেপি। দলের মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ হালদার বলেন, ‘‘বড়বড় ভাষণ দিলেই সব হয় না। গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে তৃণমূল। আর কুণালবাবুর মত মিথ্যেবাদী খুব কম আছেন। তিনি নিজেই চিটফান্ড কাণ্ড অভিযুক্ত। তাঁর নাটকে আর চিঁড়ে ভিজবে না। ভোটের সময় মানুষ সব বুঝিয়ে দেবেন।’’
শুভেন্দু-মুকুলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যের পাশাপাশি শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল। সপ্তাহখানেক আগে রায়দিঘিতে সভা করেছিলেন শোভন-বৈশাখী। সেই সভা থেকে কুণালকে আক্রমণ করেছিলেন তাঁরা। শনিবার রায়দিঘি থেকেই তাঁদের পাল্টা আক্রমণ করেন কুণাল। তাঁদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘‘২০১৬ সালে বিধানসভার আগে শোভন চট্টোপাধ্যায় এই রায়দিঘিতে এসে কি বলেছিলেন? দেবশ্রীকে ভোট দিন, উন্নয়নের কাজ করব আমি। ক্ষমতা থাকলে তুমি এই রায়দিঘি থেকে ভোটে দাঁড়াও। তোমার জামানত জব্দ করে দেব।’’
শনিবারের সভায় শোভনকে ‘গ্ল্যাকসো বেবি’ এবং বৈশাখীকে ‘বেবি ডল’ বলেও সম্বোধন করেন কুণাল। শোভনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মায়ের মতো পাশে বসিয়ে কথা বলা শিখিয়েছেন। মানুষ করেছেন, কাউন্সিলর হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ওকে কেউ শোভন চট্টোপাধ্যায় বলত না, ওকে সকলে জল শোভন বলত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোয় আলোকিত ছিল শোভন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy