প্রতীকী ছবি।
মাথা ছাড়া দেহের বাকি অংশ ঝুলছে যন্ত্রের গায়ে লাগানো লোহার স্ট্যান্ডের সঙ্গে। আর ফিনকি দিয়ে বেরোচ্ছে অনর্গল রক্ত!
ট্যাংরার দেবেন্দ্রচন্দ্র দে রোডে একটি রবারের কারখানায় এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে বুধবার বিকেলে। মৃত্যু হয় ওই কারখানার কর্মী মহম্মদ ইউসুফের ( ৫৪)। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ট্যাংরা থানায় ঘটনার খবর যায়। পুলিশ পৌঁছে দেখে, মেশিনটি তখনও চলছে। আরও দেখা যায়, যন্ত্রেরই ভিতরে এক জায়গায় আটকে ইউসুফের মাথা। দ্রুত মেশিন বন্ধ করে কোনও মতে ধড় এবং মুণ্ডটি এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও, দেহের সঙ্গে মাথা জুড়তে পারার কোনও সম্ভাবনাই আর ছিল না।
ওই রবারের কারখানায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে সহকারী রোলারম্যান হিসেবে কাজ করছিলেন ইউসুফ। তাঁর বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙায়। এ দিন চলন্ত যন্ত্রে তেল দেওয়ার কাজ করছিলেন তিনি। তখনই ঘটে এই ঘটনা। কারখানার শ্রমিকেরা কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা-বিধি মেনে চলেন না, সেই সম্পর্কে কারখানার মালিককে জিজ্ঞসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার মৃতদেহটির ময়না-তদন্ত হওয়ার কথা। এক তদন্তকারী আধিকারিকের বক্তব্য, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর আসল কারণ বোঝা যাবে। আপাতত কারখানাটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক শ্রমিকের কথায়, ‘‘ইউসুফ যে ওই ভাবে আটকে পড়েছেন, তা বুঝতেই পারিনি। যন্ত্র বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্ত ঘটনার জেরে তা বিকল হয়ে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy