ফাইল চিত্র।
আড়াই মাসের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে ধৃত সন্ধ্যা মালোর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ।
সরকারি কৌঁসুলি প্রসূন দত্ত জানান, শুক্রবার জামিন মঞ্জুরের পাশাপাশি খুনের মামলার তদন্তকারী অফিসারকে ভর্ৎসনা করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। কারণ, ‘পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল’ অনুযায়ী অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি নথিভুক্ত করেননি মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার।
ধৃতের আইনজীবী শেখর বসু ও অন্তরীক্ষ বসু জানান, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি মেয়ে সানায়াকে নিয়ে ফ্ল্যাটে একা ছিল সন্ধ্যা। তার শাশুড়ি, শ্বশুর এবং ছেলে বাড়িতে ছিলেন না। দুপুরে সন্ধ্যার শ্বশুর বাড়ি ফিরে কলিং বেল বাজিয়ে সাড়া না-পেয়ে দেখেন, দরজা খোলা। ভিতরে অচেতন অবস্থায় পড়ে সন্ধ্যা, উধাও নাতনি। জ্ঞান ফিরলে সন্ধ্যা দাবি করে, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এসে আবাসনের ছাদের চাবি চেয়েছিলেন। রাজি না হওয়ায় ওই ব্যক্তি জোর করে ভিতরে ঢোকেন। ধাক্কা খেয়ে দেওয়ালে মাথা ঠুকে জ্ঞান হারায় সন্ধ্যা।
পুলিশ জানায়, দুপুরেই সন্ধ্যার শ্বশুর বেলেঘাটা থানায় নাতনিকে অপহরণের অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে সন্ধ্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। পুলিশের দাবি, সন্ধ্যা রাতে স্বীকার করে, মেয়ে বুকের দুধ খেতে চাইত না বলে ধৈর্য হারিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করেছে সে নিজেই। পরে আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্কে প্লাস্টিকে মুড়ে দেহটি ফেলে দেয় সে।
ওই রাতেই ট্যাঙ্ক থেকে সানায়ার দেহ উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয় সন্ধ্যাকে। পরের দিন শিয়ালদহ আদালতে তার বিরুদ্ধে খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ দিন জামিনের মামলার শুনানিতে সন্ধ্যার আইনজীবীরা জানান, সে ২৪০ দিনেরও বেশি জেলে রয়েছে। খুনে অভিযুক্ত হলেও কেবল স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার চার্জশিট জমা পড়েছে এপ্রিল মাসে। বিচারপ্রক্রিয়া শীঘ্র শুরু হবে, এমন সম্ভাবনা নেই। তাই সন্ধ্যাকে জামিন দেওয়া হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy