Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Woman attacked

বধূকে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ি

— প্রতীকী ছবি

— প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ০২:০২
Share: Save:

সদ্য স্বামীহারা বধূকে মারধর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল প্রথমে। এমনকি, গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে তাঁকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ননদের স্বামী। সেই কাজে সাহায্য করেছিলেন শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ। কোনও রকমে হাত ছাড়িয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন ওই বধূ। ফোন করেন বাবা-মাকে। ঘণ্টা দু’য়েক পরে পরিজনেরা এসে উদ্ধার করেন তাঁকে। বুধবার বারুইপুর মহিলা থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করলেন ইন্দ্রাণী চট্টোপাধ্যায় নামে ওই বধূ।

ইন্দ্রাণী আরও অভিযোগ করেন, এর আগেও তাঁকে মারধর করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্বামীর মৃত্যুর পরেই দুই সন্তান-সহ তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে বারুইপুর থানার পুরাতন বাজারের বাসিন্দা মৃণাল চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রাণীর দেখাশোনা করে বিয়ে হয়। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গত ২৩ জুন অসুস্থতার কারণে মৃণালবাবুর মৃত্যু হয়। ইন্দ্রাণীর অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পরের দিনই শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ এবং ননদের স্বামী তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেন। ওই সময়ে ঘটনার কথা জানিয়ে বারুইপুর থানায় অভিযোগ করেছিলেন ইন্দ্রাণী। তখন তিনি কিছু দিনের জন্য নিজের বাবা-মায়ের কাছে চলে যান।

ইন্দ্রাণী পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১৯ অগস্ট তিনি শ্বশুরবাড়ি ফিরে যান। অভিযোগ, ফেরার পরেই তাঁর উপরে শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। তাঁকে ফের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন শ্বশুর-শাশুড়ি। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। মঙ্গলবার তাঁর শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন ননদ ও ননদের স্বামী। ইন্দ্রাণীর অভিযোগ, সকলে মিলে তাঁকে বার করে দেওয়ার জন্য মারধর শুরু করেন। তখনই হঠাৎ একটি গামছা এনে তাঁর গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেন ননদের স্বামী। ছাদের পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। ইন্দ্রাণী পুলিশকে জানিয়েছেন, শুধু তাঁকেই নয়। মারধর করা হয় তাঁর দুই সন্তানকেও। ইন্দ্রাণীর পরিজনেরা তাঁদের উদ্ধার করে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তিন জনেরই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। এর পরেই বুধবার থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন ইন্দ্রাণী।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই চার অভিযুক্ত পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Woman attacked Father in law Mother in law
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy