প্রতীকী ছবি।
এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তুলকালাম বেধে গেল মধ্যমগ্রাম থানার রোহন্ডা চণ্ডীগড় এলাকায়। শনিবার বিকেলে শ্বশুরবাড়িতে বছর কুড়ির ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ মেলে। পারিবারিক গোলমালের কারণে মেয়েকে নিয়ে যেতে এসেছিলেন বাবা। ওই তরুণীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। দেহ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতার স্বামী পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মেহেন্দি পরভিন (২০)। রোহন্ডা চণ্ডীগড়ের চৌঘুরিপাড়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। স্বামীর নাম মনিরুল ইসলাম। মেহেন্দির বাবা-মায়ের বাড়ি দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছিতে। বছর তিনেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। ওই দম্পতির দু’বছরের একটি মেয়ে আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিকে কেন্দ্র করে গোলমাল হত। চলত অত্যাচারও। থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মেহেন্দির পরিবার।
মেহেন্দির বাবা শেখ হাকিম জানান, বছর তিনেক আগে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে অনেক যৌতুক দিয়ে মনিরুলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মনিরুল একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তিনি
পণের দাবিতে অত্যাচার শুরু করেন বলে অভিযোগ। প্রথম দিকে বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা এনে স্বামীকে দিতেন মেহেন্দি। পরের দিকে তাঁদের থেকে আর টাকা আনতে রাজি হননি তিনি। শেখ হাকিম বলেন, “মেয়েকে দেখে বুঝতে পারতাম, খুব কষ্টে আছে। কিন্তু ও মুখ ফুটে কিছু বলত না। কিন্তু এত বড় সর্বনাশ যে হয়ে যাবে, তা বুঝতে পারিনি।” তদন্তে পুলিশ জেনেছে, এ দিন সকাল থেকে মনিরুলের সঙ্গে মেহেন্দির অশান্তি শুরু হয়। মেহেন্দির বাবা জানান, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মনিরুল তাঁকে ফোন করে বলেন, ‘মেয়েকে চিরদিনের জন্য আপনার বাড়িতে নিয়ে যান। এ বাড়িতে আর ওর ঠাঁই হবে না’। বিকেল ৪টে নাগাদ হাকিম মেহেন্দির শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছন। খোঁজ করতে গিয়ে দোতলার ঘরে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি।
তার পরেই খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা চড়াও হন মনিরুলের বাড়িতে। সুযোগ বুঝে সরে পড়েন মনিরুল। তাঁকে না পেয়ে ভাঙচুর শুরু হয় বাড়িতে। মনিরুলকে গ্রেফতারের দাবিতে মেহেন্দির দেহ আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ এসে মনিরুলকে গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়ার পরে জনতা শান্ত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মনিরুলের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy