প্রতীকী ছবি।
ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হল তাঁর স্বামী। ধৃতের নাম বাপি বৈদ্য। খুনের ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় নরেন্দ্রপুর থানার কুসুম্বা এলাকায়। মৃতার নাম কৃষ্ণা বৈদ্য (৪২)। পুলিশ দরজা ভেঙে ওই রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। শনিবার টালিগঞ্জ থেকে বাপিকে ধরা হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সাড়ে তিন বছর ধরে ওই দম্পতি কুসুম্বা এলাকায় ভাড়া ছিলেন। বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করতেন কৃষ্ণা। গাড়িচালক বাপি, এবং কৃষ্ণা দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। অভিযোগ, বাপি সংসারে টাকা দিতেন না। উপরন্তু কৃষ্ণার জমানো টাকা হাতিয়ে নিতেন। এমনকি স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে তিনি সন্দেহ করতেন বলে অভিযোগ। এ সব নিয়ে তাঁদের অশান্তি লেগেই থাকত। মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ঘটনার দিন বিকেলে মেয়ে কবিতা দাসের বাড়িতে কৃষ্ণার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেলেও মা না আসায়, কবিতা তাঁকে বারবার ফোন করতে থাকেন। না পেয়ে মায়ের বাড়ি চলে যান তিনি। ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি কবিতা। শেষে বাড়ির পিছনের জানলা দিয়ে ঘরে টর্চ মেরে দেখেন, বিছানার উপরে চাদরে মোড়ানো একটি দেহ, ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে রয়েছে হাত। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশের অনুমান, ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে কৃষ্ণাকে খুন করা হয়েছে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
কবিতার অভিযোগ, বাবা মাকে সন্দেহ করতেন, মদ খেয়ে মারধর করতেন। তাঁর দাবি, ‘‘বাবাই খুন করে পালিয়েছে।’’ বাড়িওয়ালা রেবা বিশ্বাস বলেন, ‘‘বাপি সব সময়ে বাড়িতে থাকতেন না। তবে কিছু দিন ধরে তিনি বাড়িতে থাকছিলেন। প্রায়ই ওঁদের মধ্যে ঝগড়া হত। ঘটনার সন্ধ্যাতেও ওঁদের চিৎকার শুনেছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy