—প্রতীকী ছবি।
সিটি স্ক্যান করাতে গিয়ে মৃত্যু হল মধ্যবয়সি এক মহিলার। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজরার কাছে একটি বেসরকারি পরীক্ষা কেন্দ্রে (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) প্রাথমিক ভাবে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও কোনও তরফ থেকেই অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেই দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, সরশুনার বাসুদেবপুরের বাসিন্দা সালেমা বিবি (৪৭) এ দিন দুপুরে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েছিলেন পেটের সিটি স্ক্যান করাতে। প্রেসক্রিপশন মেনেই সালেমাকে সিটি স্ক্যানের আগে ‘নন-আয়নিক কনট্রাস্ট’ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের। জানা যাচ্ছে, ওই ওষুধ প্রয়োগ করার পরেই মহিলা ক্রমশ অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। রক্তচাপ অতি দ্রুত নামতে থাকে সালেমার। কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় মহিলার। এই ঘটনায় বিস্মিত হয়ে যান তাঁর পরিজনেরা। সাময়িক ভাবে ওই কেন্দ্রে উত্তেজনা তৈরি হলেও পরে মৃতার দেহ নিয়ে পরিবারের লোকজন ফিরে যান।
চিকিৎসকেরা মনে করছেন, ‘অ্যানাফিল্যাক্টিক শক’-এর কারণেই ওই মহিলার মৃত্যু ঘটেছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, নন আয়নিক কনট্রাস্ট দেওয়ার কারণে মহিলার শরীরে মারাত্মক অ্যালার্জি হয়েছিল। ওই অ্যালার্জির কারণে রোগী শকে চলে যাওয়ায় তাঁর শিরায় বাহিত রক্ত, প্লাজ়মা সব বাইরে চলে এসেছিল। এ ভাবে শিরা রক্তশূন্য হওয়ায় শরীরের রক্তচাপও মুহূর্তের মধ্যে নেমে গিয়ে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বিকল করে দিয়েছিল।’’
ঘটনার বিবরণ শুনে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অ্যানাফিল্যাক্টিক শকের এই অভিঘাত তখনই হয়, যখন শরীরের অধিকাংশ রক্তবাহী নালি বিস্তৃত হয়ে যায়। সেই কারণেই শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কমে যায়। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়। সৌমিত্রের কথায়, ‘‘এমনঘটনা অতি বিরল। তবে এটা এতটাই দ্রুত হয় যে, চিকিৎসকদেরও কোনও কিছু করার সুযোগ থাকে না।তাই পরীক্ষা কেন্দ্র অথবা চিকিৎসককে এই ঘটনার জন্য দোষারোপ করাটা সমীচীন নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy