ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভা কি এ বার প্রশাসকের হাতে যেতে চলেছে? রাজ্য জুড়ে করোনা-আতঙ্কের আবহে তা নিয়েই চর্চা চলছে পুর ভবনে। ১৯৮০ সালের কলকাতা পুর আইন অনুযায়ী আগামী ৭ মে বর্তমান কাউন্সিলরদের পাঁচ বছরের মেয়াদ ফুরোচ্ছে।
তার পর থেকে তাঁরা আর কাউন্সিলরের মর্যাদা পাবেন না। সেই হিসেবে পুর বোর্ডই ক্ষমতাচ্যুত হবে। আইন অনুযায়ী তাই ওই সময়ের মধ্যে ভোট করতে হবে। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিল কলকাতা পুর নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে করোনার সংক্রমণ, সারা দেশে তিন সপ্তাহের লকডাউন পুরো হিসেব ওলটপালট করে দিয়েছে। লকডাউনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ৩০ মার্চের পরে পুর ভোটের সময়সূচি নিয়ে ফের বৈঠক হবে। কিন্তু ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণার পরে আপাতত সবই বন্ধ। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ১৪ এপ্রিলের পরে যদি লকডাউন উঠেও যায়, তা হলেও ৭ মে-র মধ্যে ভোট করা সম্ভব হবে না। আবার পুর আইন অনুয়ায়ী ৭ মে-র পরে কাউন্সিলরদের ক্ষমতা চলে যাবে।
তাই কিছু দিনের জন্য হলেও বসাতে হবে প্রশাসক।
সোমবার এ বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এখন করোনার মোকাবিলা করাই আমাদের কাছে সবচেয়ে জরুরি। অন্য কিছু নয়।’’ পরে তিনি জানান, পুর ভোটের বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেখার কথা। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, পুর আইনে বলা আছে, নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে প্রথম যে বৈঠক হয়েছিল পুরসভায়, সেই দিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ থাকবে কাউন্সিলরদের। ওই বৈঠক হয়েছিল ২০১৫ সালের ৮ মে।
পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুর আইনে প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে সরাসরি কোনও বিধির কথা লেখা না-থাকলেও সেই আইনের ১১৭ ও ১১৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। আবার অধ্যাদেশ জারি করেও
প্রশাসক নিয়োগ করার কথা উঠছে সরকারি তরফে। তবে যা করার, তা করতে হবে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে। প্রশাসক নিয়োগ করতে হলে সেই প্রস্তাবও তুলবে ওই দফতর। ১৯৮৫ সালের আগে পুরনো পুর আইন মোতাবেক কলকাতা পুরসভায় একাধিক বার প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সেই পথেই যাচ্ছে কি না, এখন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy