—প্রতীকী ছবি।
কলকাতা শহরে যে কোনও ধরনের নির্মাণকাজ করতে হলে কলকাতা পুরসভার অনুমতি বাধ্যতামূলক। তবে কোনও ক্ষেত্রে যদি গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে পুরসভার পাশাপাশি, বন দফতরের থেকেও অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু কে আগে অনুমতি দেবে? এই নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক দানা বেঁধেছে দু’পক্ষের মধ্যে। তাই এই জটিলতার অবসান ঘটাতে মঙ্গলবার এক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভায়।
কলকাতা শহরকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে বৃক্ষরোপণ একটি জরুরি বিষয়। কোনও নির্মাণকাজ করতে গিয়ে যদি একটি গাছ কাটা হয়, পরিবর্তে ২০টি গাছ লাগানো অবশ্যিক। কিন্তু গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে পরস্পরের দিকে দায় ঠেলাঠেলি হচ্ছে বলে অভিযোগ।
গত কয়েক মাস ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে পুরসভা এবং বন দফতরের মধ্যে। যে কারণে কলকাতায় বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি নির্মাণকার্য থমকে রয়েছে বলেই অভিযোগ। বন দফতরের কর্তারা আবেদনকারীকে গাছ কাটার অনুমতি আগে কলকাতা পুরসভা থেকে আনার কথা বলছেন। পুরসভা সেই অনুমতি দিলে, তবেই বন দফতর এ বিষয়ে আবেদন মঞ্জুর করবে। আর পুরসভার এক আধিকারিকের দাবি, যে হেতু গাছ বনসৃজনের বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত, তাই শহরে গাছ কাটার অনুমতি আগে বন দফতর দিক। সেই অনুমতির ভিত্তিতে পুরসভাও গাছ কাটার অনুমতি দেবে।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী মঙ্গলবার অনুমতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসছে দু’পক্ষ। বন দফতরের আধিকারিকেরা কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে আসবেন। পুরসভার তরফে ওই বৈঠকে যোগদান করবেন বিল্ডিং বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকেরা। যে হেতু বিল্ডিং বিভাগই নির্মাণকাজ এবং গাছ কাটা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, তাই পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকেরা এই জট কাটাতে বিল্ডিং বিভাগকেই বন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়ের জট কাটানোর পাশাপাশি, শহরে বৃক্ষরোপণের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চাইছে দু’পক্ষই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy