প্রতীকী ছবি।
করুণাময়ী সেতুর পাশে সিরিটি এবং টালিগঞ্জের মধ্যে সংযোগকারী নতুন সেতুর ভবিষ্যৎ আপাতত ঝুলেই রইল। ওই সেতু কবে চালু হতে পারে, তা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। আপাতত নবনির্মিত সেতুটির কাঠামো পরীক্ষার জন্য রাইটসকে নিযুক্ত করছেন তাঁরা। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই সেতু চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য বলেন, ‘‘ওই সেতুটি তৈরি হওয়ায় আদিগঙ্গার জলপ্রবাহ কোনও ভাবে বাধা পাচ্ছে কি না, রাইটস তা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাকি কাজ শেষ করে সেতু চালু করা হবে।’’ সেতুটির অ্যাপ্রোচ রোডের অংশে রাস্তার কাজ বাকি থাকায় সেখান দিয়ে যান চলাচল করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, নতুন সেতুটি যে নকশা মেনে তৈরি হয়েছে, তাতে আদিগঙ্গার জলের প্রবাহ বাধা পাচ্ছে বলে পরিবেশকর্মীদের একাংশের অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলাও করা হয়। তার পরেই প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ থমকে যায়। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক দাবি করেন, আদিগঙ্গার জলপ্রবাহ বাধাহীন রাখতে আদালতের নির্দেশে এর পরে নবনির্মিত সেতুটির একটি অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে রাজ্য সরকারের হলফনামায় বলা হয়েছিল, ওই সেতুর সামগ্রিক কাঠামো পরীক্ষা করাতে আইআইটি অথবা রাইটসের মতো সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে।
প্রশ্ন উঠেছে, টালিগঞ্জের করুণাময়ী সেতুর পাশে আদিগঙ্গার উপরে এই ধরনের প্রকল্প তৈরি হল কেন? কেএমডিএ-র এক আধিকারিকের দাবি, কোথাও উল্লেখ করা নেই যে, আদিগঙ্গার উপরে কোথাও কোনও নির্মাণকাজ করা যাবে না। তবে ওই নির্মাণের ফলে জলের গতি যদি বাধা পায়, তা হলে অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। সেই কারণেই রাইটসকে দিয়ে সেতুটি পরীক্ষা করিয়ে তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘রাইটস বা অন্য কোনও সংস্থাকে দিয়ে সেতুটির নকশা পরীক্ষা করানো যেতে পারে। কিন্তু ওই নকশার ফলে কোথায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তা পরিবেশকর্মীরাই বলতে পারবেন। সেই কারণে রাইটসের প্রতিনিধিদের উচিত, পরিবেশকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা।’’
মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে টালিগঞ্জের করুণাময়ী সেতু ও সংলগ্ন এলাকায় যানজট অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় আর একটি সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেতুটি তৈরি হয়ে গেলেও এখনও চালু না হওয়ায় এলাকায় যানজটের সমস্যা রয়েই গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy