অগ্নিকাণ্ডের পর কসবার অ্যাক্রোপলিস মল আবার কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে, তা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে অনেকের মনেই। তবে দমকল সূত্রে খবর, এখনই শপিং মল খোলার অনুমতি দিচ্ছে না তারা। কবে আবার শপিং মল খুলবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই।
শনিবার অ্যাক্রোপলিস মল পরিদর্শনে যান দমকলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। মলের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। একই সঙ্গে ফরেন্সিক দলও ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আনে। সূত্রের খবর, ওই মলের ফায়ার অডিট রিপোর্ট দেখতে চেয়েছে দমকল। এ ছাড়াও অ্যাক্রোপলিস মলে কবে শেষ বার মক ড্রিল করা হয়েছে, তা-ও বিশদে জানতে চাওয়া হয়।
শুক্রবার দুপুরে আচমকাই অ্যাক্রোপলিস মলে আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। শেষ পর্যন্ত ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুরোপুরি আগুন নিভতে আরও ঘণ্টাখানেক সময় লাগে বলে জানায় দমকল।
আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় শপিং মলে আসা সাধারণ মানুষের মনে। কালো ধোঁয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের কাউকে কাউকে পাঁজাকোলা করে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনা হয়। আতঙ্কে অনেকে কালো ধোঁয়ার মধ্যেই সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে থাকেন। বাকিদেরও তড়িঘড়ি সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনা হয়। শপিং মল ছাড়তে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তবে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন:
কী কারণে এই আগুন লাগল, তা তদন্তসাপেক্ষ। এমনকি আগুনের উৎসই বা কী, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে শপিং মলের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। পুরো শপিং মলকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। তবে মেরামতির কাজ এখনও শুরু হয়নি। মল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, দমকলের তরফ থেকে অনুমতি মিললে মেরামতির কাজ শুরু হবে। তার পরই অ্যাক্রোপলিস মল খোলা হতে পারে। দমকল সূত্রে খবর, মেরামতির পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই মল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।