Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Haridevpur Incident

মা-মেয়ের ঝগড়ায় ‘অতিষ্ঠ’ প্রতিবেশীরা, হরিদেবপুরের ফ্ল্যাট থেকে ছোড়া হয় মদের বোতলও

হরিদেবপুরের কিশোরী নিজের মায়ের বিরুদ্ধে পুড়িয়ে মারার চক্রান্তের অভিযোগ দায়ের করে। ওই ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কোভিড অতিমারির আগেও এক বার তাঁদের ফ্ল্যাটে আগুন লেগেছিল।

What are the neighbors saying on Haridevpur incident where mother allegedly tried to kill daughter.

হরিদেবপুরের ফ্ল্যাটে আগুন ধরিয়ে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৩ ১৫:০২
Share: Save:

হরিদেবপুরে ঘরে আগুন লাগিয়ে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এ বার মুখ খুললেন প্রতিবেশীরাও। অভিযুক্ত সোনালি চন্দকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এর আগেও তাঁদের ফ্ল্যাটে আগুন লেগেছিল। সোনালি এবং তাঁর কন্যা প্রায়ই নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করেন। সেই ঝগড়ায় ‘অতিষ্ঠ’ প্রতিবেশীরা।

হরিদেবপুরের বাসিন্দা সেই কিশোরী থানায় মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশকে সে জানায়, সে বাড়িতে থাকাকালীন তার মা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এ ভাবে তাকে আসলে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। কিশোরীর আরও অভিযোগ, তার মা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত। নিজের প্রেমিকের সঙ্গে চক্রান্ত করেই তাকে খুন করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এই সংক্রান্ত মোবাইলের চ্যাট এবং নানা ছবিও কিশোরী পুলিশকে দেখিয়েছে।

হরিদেবপুরের ওই ফ্ল্যাটের আশপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁরা জানিয়েছেন, কোভিড অতিমারির আগে এক বার তাঁদের ফ্ল্যাটে আগুন লেগেছিল। সে সময় প্রতিবেশীদের সাহায্যের জন্য ডেকেছিলেন সোনালি। প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেছেন, সারা ঘরে আগুন ধরে গিয়েছে, জ্বলছে সোফা এবং অন্যান্য আসবাবও।

এই ফ্ল্যাটে সোনালির সঙ্গে তাঁর স্বামী কৌশিকও থাকতেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। তবে তিনি পরে অন্যত্র চলে যান। আলাদাই থাকেন স্বামী-স্ত্রী।

প্রতিবেশীদের আরও দাবি, ইদানীং মা এবং মেয়ের মধ্যে খুব ঝগড়া হচ্ছিল। রাতের দিকে প্রায়ই তাঁরা তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়তেন বলে অভিযোগ। সোনালি নাকি প্রায়ই জিনিসপত্র নীচের দিকে ছুড়ে ফেলেন। সম্প্রতি যখন তাঁদের ফ্ল্যাটে আবার আগুন লেগেছিল, মদের বোতল, ওষুধের পাতা ইত্যাদি ওই ফ্ল্যাট থেকে নীচে ছোড়া হচ্ছিল বলে জানান প্রতিবেশীরা।

হরিদেবপুরের ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ধৃত প্রসূন মান্নার সঙ্গে সোনালির আলাপ হয়েছিল ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে। সোনালি তাঁর বাবার মৃত্যুর পর খাদ্য দফতরের চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁর প্রেমিক প্রসূন বারাসত পুলিশ লাইনের কনস্টেবল। দু’জনের মধ্যে ক্রমে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। প্রেমেই ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়ায় সোনালির কন্যা। সেই কারণেই তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা চলছিল বলে অভিযোগ।

কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ তাদের বাড়িতে আগুন লেগেছিল। কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিল সে। পরে মায়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের কথোপকথন সে শুনতে পায় বলে দাবি। স্নানঘর থেকে তার মা ফোনে কথা বলছিলেন। তাকে হত্যার চক্রান্ত চলছিল বলে অভিযোগ। মায়ের সঙ্গে ওই যুবকের চ্যাটও দেখতে পায় সে। তার পরেই থানায় যায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy