লকডাউন শেষে অফিসে যেতে মরিয়া মানুষ। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি বাসের ভিতরে নড়াচড়ার জায়গা নেই। গেটে ঝুলছেন অন্তত ১০ জন। বাসের পাদানিতেও দু’পা রাখার জায়গা নেই। এই ভাবেই চলছিল বাস। কিন্তু তার পরেও রেহাই নেই। আরও যাত্রী বাসে উঠতে চান। বাধ্য হয়ে বাস থেকে নেমেই পড়লেন কন্ডাকটর।
এটা কোনও বিচ্ছিন্ন দৃশ্য নয়। রাজ্যের আনলকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়ে শহরতলি থেকে কলকাতা আসার জন্য এ ভাবেই বাস ধরতে হল অফিস যাত্রীদের। বিশেষ করে উত্তর শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকা, যেখানে ট্রেনই মূল ভরসা মানুষের যাতায়াতের।
সোমবার থেকে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত অফিস খুলে গিয়েছে। লকডাউন শেষে অফিসে যেতে মরিয়া মানুষ। কিন্তু অভিযোগ, সরকার বা বাস মালিকদের সংগঠনগুলি বাড়তি বাস চালানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে রাস্তায় সে সবের দেখা মেলেনি। আর তাই সকাল থেকে দাঁড়িয়েও বাস পাননি মানুষ।
আরও পড়ুন: শহরে যাত্রী ভোগান্তি, বাসে বেশি ভাড়ার লাগাম টানতে নজরদারি
আরও পড়ুন: রাজ্যে এক দিনে করোনা আক্রান্ত ৪৪৯, মৃত আরও ১৩
বাস নেই— সেই ক্ষোভে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড় অবরোধ করেন কয়েকশো অফিসযাত্রী। পুলিশ এবং র্যাফ নামিয়ে লাঠি চালিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে অবরোধ তোলে। কামারহাটিতে দেখা যায় একটি বেসরকারি রুটের বাস ধরতে কমপক্ষে ৫০০ মানুষের লম্বা লাইন। একই ছবি ডানলপে এস৯-এ রুটের বাস স্ট্যান্ডেও! সবারই প্রশ্ন, বাস কোথায় বাড়তি সরকারি বাস? কোথায় বাস মালিকদের প্রতিশ্রুতি মতো ২ হাজার বাস? কিন্তু তার পরেও অফিস যেতেই হবে। তাই বাসের পাদানিতে ঝুলতে ঝুলতে এক যাত্রীর মুখে শোনা গেল, ‘‘হয় মরব না হয় বাঁচব, চল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy