হুগলির সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র
হুগলির সাহাগঞ্জে রাজনৈতিক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন আগেই সাহাগঞ্জের সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সাহাগঞ্জে দাঁড়িয়েই তার জবাব মমতার।
সাহাগঞ্জের এই সভাতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন টলিউডের এক ঝাঁক তারকা। ঘাসফুলে নাম লেখালেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, জুন মাল্য, মানালি দে ও সায়নী ঘোষ। এ ছাড়া দলে যোগ দিলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। যোগদানের তালিকায় আরও রয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও সুদেষ্ণা রায়, ফুটবলার সৌমিক দে।
মমতার বক্তব্য:
২.১০: একটা মাত্র আসন জিতে ভাবছে হুগলি দখল করবে? ধেই ধেই করে নাচছে। মা-বোনেদের বলছি, যা হয়েছে ভুলে যান। হুগলির সব আসন আমাদের দিন।
২.০৮: আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই। অন্য পার্টির লোককে তোলাবাজ বলবেন? আর আপনার পার্টি কি ওয়াশিং মেশিন। আমি এক পয়সা মাইনে নিই না। আমি মানুষকে সেবা করি, এটাই আমার কাজ। এত বড় সাহস। মা বোনেদের বলছেন কয়লা চোর? আর আপনারা কয়লা চোরের হোটেলে থাকছেন। আপনারা কী ভাবেন, আমি জানি না? তাই বলে যাই নরেন্দ্র মোদী, আর আপনার দানব বন্ধু, সঙ্গে যাঁরা আছে, ছোটখাটো চুনোপুঁটিরা। আর একটু সময় দিন। আর মাত্র দু’মাস। তার পর দেখব, কার কত গণতন্ত্রের জোর। আমরা ১০ বছর ধরে উন্নয়ন করেছি। আমরা মা-বোনেদের সম্মান দিয়েছি।
২.০৬: আগের বার বলাগড়ে আমরা ভোট পাইনি। নিশ্চয়ই আমাদের কোথাও ভুল হয়েছিল। সেগুলো আমরা শুধরে নেব। এ বার ভোট এলে টাকা নিয়ে আসলে, টাকাটা নিয়ে নেবেন। তার পর ভোটের সময় উল্টে দেবেন। আগে একটা বিড়ি ৩ বার টানত। এখন কোটি কোটি টাকা। ফাইভ স্টার হোটেলে বসে খাচ্ছে, আর একটা গরিব মানুষকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বলছে, একটা থালা দাও, তোমার বাড়িতে যাব।
২.০৫: খেলা হবে। এস, খেলে দেখ। ক’জনকে গ্রেফতার করবে, জেল ফেটে বেরিয়ে আসবে। ক’জনকে গ্রেফতার করবে, ধামসা-মাদল থেকে বেরিয়ে আসবে।
২.০৪: ২০১৪ সালে বলেছিল ১৫ লক্ষ টাকা দেবে। ক’জন পেয়েছেন সেই টাকা। আর এখন টাকা দিয়ে এলে কী করবেন? বাংলাকে বাইরে থেকে গুন্ডা এনে ভরিয়ে দেবে। রাজ্যটাকে বিক্রি করে দেবে। আপনারা বলুন, কোনটা চাই। ভাল করে শুনে রাখ। গুজরাত বাংলা শাসন করবে না। বাংলাই বাংলা শাসন করবে। এক একটা লুটেরা। কারও কান কাটা, কারও নাক কাটা, কারও চোখ কাটা, কারও পা কাটা। দুর্গাপুরে একটা হোটেল বুক করেছে। ওই হোটেল কোন কোল মাফিয়ার জিজ্ঞেস করুন।
২.০০: আজ বিজেপি, কংগ্রেস আর সিপিএম এক হয়েছে। ক’জনকে গ্রেফতার করবে কর। তৃণমূলের সব কর্মীকে গ্রেফতার কর।
১.৫৭: এখানে ২৪টা ক্লাস্টার হয়েছে। নতুন গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ হয়েছে। এ ছাড়া গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে বিপুল বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছি। সিঙ্গুরে আমরা ১১ একর জমির উপর অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করছি। ডানকুনি থেকে শুরু করে রেললাইন ধরে শিল্প হতে হতে যাবে। বাংলা ১০০ দিনের কাজে ১ নম্বর। এমএসএমই-তে ভাল কাজ করছে। আমরা বলি আর করি। এরা কিছু করে না শুধু মিথ্যা কথা বলে।
১.৫৫: আমরা আগামী দিনে দায়িত্ব নিয়েছি, প্রত্যেক বিধবাকে ৬০ বছর বয়সের পরে মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা দেব। আগামী দিনে আমাদের ৪৫ লক্ষ শ্রমিক, যাঁরা সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আছেন, তাঁদেরও ১০০০ টাকা করে দেব।
১.৫০: এই সায়নী, এখন এখানে এসেছে। একটা টুইট করেছিল। তাই নিয়ে কত অপমানই না করেছে তাঁকে। একটা মেয়ের স্বাধীনতা থাকবে না? দেবলীনার টুইট নিয়ে ওঁকেও কী ভাবে অপমান করেছে? আজকে বিজেপি-তে মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। আমাদের দলে দেখবেন মেয়েদের সম্মান, মায়ের সম্মান। পশ্চিমবঙ্গ নদীমাতৃক দেশ। মায়ের দেশ।
১.৪৮: শ্রমিকদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে পবন রুইয়ার অতিথি হয়েছেন তাঁরা। এঁদের মুখে বড় বড় কথা শুনব আমি? কথায় কথায় বলেন, তৃণমূল তোলাবাজ? আর আপনি কি? আপনি দাঙ্গাবাজ? যাঁরা ৫টাকা, ১০ টাকা তোলে, তাঁকে বলে তোলাবাজ। আর আপনারা কোটি কোটি টাকা কাটমানি খান। কারখানা বিক্রি করে দেন। দেশটাকেই বিক্রি করে দেন। গরিব লোকেরা খেলে হয় কাটমানি, আর আপনারা খেলে হয় ক্যাটমানি?
১.৪৫: একটা ঘরের মা-বোনেদের বলছেন কয়লা চোর। আর তোমার সারা গায়ে ময়লা লেগে আছে। নোটবন্দির টাকা কোথায় গেল, নরেন্দ্র মোদী জবাব দাও। বিএসএনএল বিক্রি হচ্ছে কেন, নরেন্দ্র মোদী জবাব দাও, কোল ইন্ডিয়া বিক্রি হচ্ছে কেন জবাব দাও।
১.৪২: এখন ফিতে কাটছে। এই সব প্রকল্প আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন করে দিয়ে গেছি। একাট দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে মিথ্যে কথা বলেন। আমি প্রধানমন্ত্রী শব্দটা বলতে চাই না। কারণ উনি আজ আছেন, কাল চলে যাবেন। এই দেশে এখন দু’টো নেতা। একটা নেতা হচ্ছে হোদল কুতকুত। আরেকটা নেতা হচ্ছে কিম্ভূতকিমাকার। গায়ের জোর দেখাচ্ছে।
১.৪০: ডানলপের শ্রমিক কারা আছেন, হাত তুলুন। ২০১৬ সালে আমরা বললাম, ডানলপ টাকে অধিগ্রহন করতে চাই। জেসপ চালাতে চাই। দিল না। আমরা ১০ হাজার টাকা করে এক্সগ্রাসিয়া দিই। জিজ্ঞাসা করুন তো, কেন মোদী করতে দেননি?
১.৩৮: খেলা হবে। এবারও খেলা হবে। আমি থাকব গোলরক্ষক। একটাও গোল করতে পারবেন না। এখানে বলতে এলে মাইকের সামনে ট্রান্সপারেন্ট গ্লাস থাকে। সেটা দেখে দেখে দু’-একটা বাংলা বলেন। এই দু’-এক লাইন বাংলা বলে রাজ্যের মানুষের মন জয় করা যাবে না।
লাইভ আপডেট:
১.৩০: দিদিকে অনেক ধন্যবাদ। এত কম বয়সে দলের কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য। পশ্চিমবঙ্গ ১০ কোটি মানুষের নয়নের মণি, বললেন সায়নী ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy