প্রাথমিক ভাবে ৭৬৬ জন শিক্ষককে শো-কজ়ের চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক ভাবে ৭৬৬ জন শিক্ষককে শো-কজ়ের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে আরও কয়েক জন শিক্ষককে এই চিঠি পাঠানো হবে। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা জেলা স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তারা। তাঁরা জানান, প্রাথমিক ভাবে গুগল শিটে যে শিক্ষকদের নাম তাঁরা পেয়েছেন, তার ভিত্তিতেই আপাতত শো-কজ়ের চিঠি গিয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সংখ্যাটা আরও বাড়বে।
প্রশ্ন উঠেছে, প্রধান শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদে কি প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে? কারণ, শোনা গিয়েছে, অনেক প্রধান শিক্ষকই সে দিন কর্মবিরতি পালন করেছেন। শিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রধান শিক্ষক কোনও তথ্য গোপন করলে এবং পরে সেই বিষয়ে জানা গেলে, সেটাও যথাযথ স্থানে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মেটানোর দাবিতে গত ১০ মার্চ ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। যে সব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সে দিন স্কুলে যাননি, তাঁদের বিরুদ্ধে শিক্ষা দফতর শো-কজ়ের চিঠি পাঠিয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, বিশেষ কারণ ছাড়া সে দিন স্কুলে আসা আবশ্যিক। তা সত্ত্বেও ওই দিন যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ সাত দিনের মধ্যে জানাতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যদি চিঠির জবাব না দেন, তা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই জলঘোলার মধ্যেই কয়েক জন শিক্ষক জানান, চিঠি পেলে তাঁরা আইনি পথেই মোকাবিলা করবেন। ‘শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ’-এর সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘কলকাতায় যত জন শিক্ষকের কাছে চিঠি গিয়েছে, তা কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকের তুলনায় অনেক কম। যাঁরা কর্মবিরতিতে গিয়েও চিঠি পাননি, তাঁরাও চাইছেন তাঁদের চিঠি দেওয়া হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy