যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডে পথনাটিকা পরিবেশন করছেন রিমঝিমরা। —নিজস্ব চিত্র।
১৪ অগস্টের পর ৮ সেপ্টেম্বর। ‘মেয়েদের রাতদখল’-এর ডাক দিয়েছিলেন রিমঝিম সিংহ। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রবিবার রাতে পথে নেমেছে শহরবাসীর একাংশ। যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডে গান, স্লোগান, পথনাটিকার মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। রাত ১টায় সেই কর্মসূচি শেষ হয়েছে। বাড়ি ফেরার পথে আহ্বায়ক রিমঝিম বলেন, “সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পর পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করব আমরা। আপাতত আন্দোলন জিইয়ে রাখতে চাই।”
রবিবার রাতের কর্মসূচি শেষে দু’টি দাবি পেশ করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, “আমাদের দু’টি দাবির একটি, আরজি কর-কাণ্ডের সুবিচার চাই। সুপ্রিম কোর্টে নিরপেক্ষ বিচার হোক। যত বড় ব্যক্তিত্বই এর সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু আরজি কর-কাণ্ড নিয়েই প্রতিবাদ করছি না। ভবিষ্যতেও এ রকম ঘটনা যাতে না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতে চাইছি। এর জন্য পরিকাঠামোগত কিছু পরিবর্তন দরকার। এখানেই আমাদের দ্বিতীয় দাবি, স্কুলের পাঠ্যক্রমে লিঙ্গ বিষয়ক পড়াশোনা বাধ্যতামূলক করা হোক। সরকারি আধিকারিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকর্মীরা যাঁরা লিঙ্গবৈষম্য এবং নারীবাদ নিয়ে চর্চা করেন তাঁদের নিয়ে পাঠ্যক্রম তৈরি হোক।”
রিমঝিমের কথায়, “২৪ ঘণ্টার জন্য সুরক্ষিত গণপরিবহণ ব্যবস্থা চাই। বিভিন্ন সংস্থা এখন রাতে কাজ করার জন্য কর্মী নিয়োগ করে। বহু মহিলা সেখানে কাজ করছেন। প্রতিটি সংস্থায় মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত বিশ্রাম কক্ষ প্রয়োজন। সংগঠিত এবং অসংগঠিত দু’টি ক্ষেত্রের জন্যই তা আবশ্যিক। এ ছাড়াও মহিলাদের জন্য ক্রেশের প্রয়োজন। রাজ্যের নানা জায়গা থেকে আরও দাবি এসেছে, সে সব নিয়েই আমরা আগামী দিনে এগিয়ে যেতে চাই।” রিমিঝিম জানিয়েছেন, তাঁদের তরফে ইতিমধ্যে শিক্ষা, নারী ও শিশুকল্যাণ, স্বাস্থ্য এবং পরিবহণ দফতরে ইমেল করা হয়েছে। কিন্তু জবাব মেলেনি বলে দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy