টালা সেতু।—ফাইল চিত্র।
টালা সেতু ভেঙে দিলে শুধু যানবাহন চলাচলেই সমস্যা হবে না, বিঘ্ন ঘটতে পারে টালার জলাধার থেকে জল সরবরাহেও। এমনই আশঙ্কা পুর মহলের। তাই ওই সেতু ভেঙে দেওয়ার আগে পূর্ত দফতরের সঙ্গে আলাদা ভাবে বসতে চান কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারেরা। কলকাতা শহরে সবচেয়ে বেশি পানীয় জল সরবরাহ করা হয় টালার জলাধার থেকে। মূলত উত্তর এবং মধ্য কলকাতার পুরো এলাকার সঙ্গে পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশের পানীয় জল সরবরাহ করা হয় এই জলাধার থেকেই।
পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায় জানান, টালার জলাধার থেকে আলাদা ছ’টি বড় পাইপলাইনের মাধ্যমে জল উত্তর এবং মধ্য কলকাতার সাতটি বরো এলাকায় পাঠানো হয়। ওই সব পাইপের কোনওটি ৭২ ইঞ্চি, কোনওটি ৫৪ ইঞ্চি ব্যাসের। বাকিগুলি ৪৫, ৩০ এবং ২৪ ইঞ্চির পাইপ। ওই পাইপগুলি টালা জলাধারের নীচ দিয়ে সার্ভিস রোড হয়ে সেতুর নীচে তৈরি লোহার কাঠামোর উপর দিয়ে গিয়েছে।
পুর ইঞ্জিনিয়ারদের আশঙ্কা, সেতু ভাঙার সময়ে কংক্রিটের চাঙড় জল সরবরাহের মূল পাইপের উপরে ভেঙে পড়ে তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নতুন সেতু তৈরির সময়েও ঝুঁকি রয়েছে ওই পাইপগুলির। খোঁড়াখুঁড়ির ফলে সার্ভিস রোডের নীচ দিয়ে যাওয়া পাইপ ফেটে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আগাম সে সব বুঝতেই সেতু ভাঙা শুরুর আগে পূর্ত দফতরের বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে বসতে হবে বলে জানাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। পুর কর্তৃপক্ষের মতে, টালার পানীয় জল সরবরাহে কোনও বিঘ্ন ঘটলে জনজীবনে ভয়ঙ্কর সঙ্কট তৈরি হবে। সে কথা মাথায় রেখেই এগোতে চায় পুর প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy