থইথই: জলমগ্ন হাওড়া হাসপাতালের মূল ভবনের সিঁড়ি। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
পাঁচতলার উপরে জলের পাইপ ফেটে বিপত্তি ঘটল হাওড়া জেলা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে পাঁচতলার এম এস কোল ওয়ার্ডে। ওই ঘটনার জেরে হাসপাতালের মূল ভবনের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগেও জল জমে যায়। সিঁড়ি বেয়ে জলের ধারা স্রোতের মতো নীচে নামতে থাকে। প্রতিটি তলের কিছু কিছু জায়গায় জল জমে যায়।
হাসপাতালের অনেক জায়গায় জল জমে গেলেও রোগীদের ওয়ার্ডে জল ঢোকেনি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। জলের স্রোত পাঁচতলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে একতলাতেও নেমে আসে। জলের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়দের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জল বার করার দ্রুত উদ্যোগ নিলেও বেশ কিছু ক্ষণ নাজেহাল হতে হয় রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের।
হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, এই ঘটনার জেরে সাময়িক ভাবে ব্যাহত হয় চিকিৎসা পরিষেবা। পরে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা সেখানে এসে জলের পাইপ মেরামত করেন। দুপুর নাগাদ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এ বিষয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন,‘‘এ দিন জলের সরবরাহ লাইনের একটি পাইপ ফেটে যায় এম এস কোল ওয়ার্ডে। সেটি এমন জায়গায় ছিল যে জল সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামছিল। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা সেটি মেরামতের কাজ শুরু করেছেন। জমা জল বার করে দেওয়া হয়েছে।’’
সুপার জানান, আশা করে হচ্ছে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ওই কাজের জন্য সাময়িক ভাবে কোনও কোনও ওয়ার্ডে জল বন্ধ করা হতে পারে। তবে তার জন্য রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগেই এমনই একটি জলের পাইপ ফেটে গিয়ে মূল ভবনের একতলার উপরের অপারেশন থিয়েটার জলমগ্ন হয়ে পড়ে। চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, সেই সময়েও কয়েক দিনের জন্যে অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখা হয়েছিল।
হাওড়া জেলা হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে এই ধরনের সমস্যা বারবার হওয়ায়
চিন্তায় রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, হাওড়া জেলা হাসপাতালে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ঠিক মতো না হওয়ার জন্যই বারবার এই ঘটনা ঘটছে। যদিও এ দিনের পাইপ ফাটা নিয়ে সুপারের বক্তব্য, ‘‘মাঝেমাঝে এই ধরনের সাধারণ সমস্যা তো হয়েই থাকে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy