Sourced by the ABP
এমনিতেই সরকারি বাস বাড়ন্ত বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ ওঠে। ১৫ বছরের পরে বাতিল হওয়ার আইনের আওতায় বিভিন্ন রুট থেকে অজস্র সরকারি-বেসরকারি বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ বার আরও দু’টি রুটের উঠে যাওয়ার পালা। চলতি সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই রুটের অন্তত ছ’টি ভলভো বাস বন্ধ হতে চলেছে। যেগুলি চলত সল্টলেকের করুণাময়ীর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাস থেকে।
পরিবহণ দফতরের ভিতরের খবর, ওই বাসগুলি বন্ধ হয়ে গেলে কার্যত তালা ঝোলার অবস্থায় পৌঁছবে করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাস। কারণ, গত দেড় বছরে ওই বাস টার্মিনাস থেকে বিভিন্ন রুটের অন্তত ১৪টি ভলভো বাস আর চলছে না। আপাতত ওই ডিপোয় বেসরকারি সংস্থার বাসের পার্কিংই বেশি হচ্ছে।
দফতর সূত্রের খবর, বন্ধ হওয়ার পথে যে গুরুত্বপূর্ণ রুট দু’টি রয়েছে, সেগুলি হল ভিএস-১ (বিমানবন্দর-ধর্মতলা) এবং ভিএস-২ (বিমানবন্দর থেকে হাওড়া)। ওই দু’টি রুটের বাস থাকে করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাসে। দু’টি রুট মিলে ছ’টির কাছাকাছি বাস চলছে। তার মধ্যে বিমানবন্দর থেকে হাওড়া রুটের ভলভো রুটটি সক্রিয় বলেই দফতর সূত্রের খবর। যাঁদের বিমান থেকে কলকাতায় নেমে জরুরি ভিত্তিতে ট্রেন ধরার তাড়া থাকে, তাঁরা ওই বাসটির উপরে নির্ভরশীল।
যদিও পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর দাবি, বাস বাতিল হলেও রুট বন্ধ হবে না। বিকল্প
ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘১৫ বছরের পরে বাস যেমন বাতিল হবে, তেমনই এমন অনেক বাস রয়েছে, যেগুলির পনেরো পেরোতে দেরি আছে। সেই সব বাস
ওই রুটে ব্যবহার করা হবে। তবে আমাদের বেশ কিছু বাস কেনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।``
ডিপো সূত্রের খবর, গত দেড় বছরে নিয়মের আওতায় পড়ে আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাস থেকে অন্তত ২০টি ভলভো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যেগুলির কোনও বিকল্প এখনও পর্যন্ত করা যায়নি। ভিএস-৬ রুটে কিছু ভলভো চলত করুণাময়ী থেকে এসপ্লানেড হয়ে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত। সেই রুট এখন টিকে রয়েছে এসপ্লানেড থেকে ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে।
আবার ওই ডিপো থেকেই চলত ভিএস-৪ ভলভো। রুট ছিল করুণাময়ী থেকে কুঁদঘাট। করুণাময়ী থেকে এসপ্লানেডের মধ্যে চলত ভিএস-১৪ নম্বর রুটের ভলভো। গাড়ি বাতিলের আইনের কারণে দু’টি রুটেরই ভলভো বাতিল হয়। ওই রুটে নতুন করে কোনও ভলভো নামানো হয়নি বলেই আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাস সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগে ওই বাস টার্মিনাস থেকে কলকাতা-ঢাকা সরকারি ভলভো বাস চলত। ওই আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাস থেকে সেই একটি বাস বর্তমানে এক বেসরকারি সংস্থা চালাচ্ছে। আধিকারিকদের একাংশের দাবি, এ ভাবে কলকাতার অনেক ডিপো থেকে চলা বাস বাতিল হওয়ার পরে সেই সব রুট ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ডিপোগুলিতে বেসরকারি সংস্থার বাস রাখা হচ্ছে। রুটগুলিতে ক্যাব,
অটো, টোটোর দাপট বাড়ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে সরকারি পরিবহণ
ব্যবস্থার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy