সেই উল্লম্ব বাগান। নিজস্ব চিত্র
পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য রাস্তার ধার থেকে কমে গিয়েছে গাছের সংখ্যা। এ দিকে এলাকার উন্নয়ন হওয়ায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। ফলে বাড়ছে দূষণও। কিন্তু পাল্লা দিয়ে কমছে সবুজ। এর জেরে প্রমাদ গুণছেন পরিবেশ কর্মীদের বড় অংশ।
সে কারণেই সবুজ রক্ষা করতে সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে বৃক্ষরোপণ, আবাসিক বাড়ির ছাদে বাগান-সহ একাধিক পরিকল্পনা কার্যকর করতে তৎপর হয়েছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)। পাশাপাশি রাস্তার মাঝের মেট্রোর স্তম্ভকে মাধ্যম করে সবুজের বিস্তার ঘটানোর পরিকল্পনা হয়েছে। আগেও অবশ্য মেট্রোর স্তম্ভ অন্য ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। এ বার সেই সজ্জার পরিবর্তন করে তৈরি হচ্ছে উল্লম্ব বাগিচা। ইতিমধ্যেই ৩০টি স্তম্ভ এ ভাবেই সেজে উঠেছে। এনকেডিএ সূত্রের খবর, আরও ৭০টি স্তম্ভে এমন কাজ করা হবে।
এই পরিকল্পনায় স্তম্ভগুলির উপরে কোনও প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সংশয় ছিল। সেই সংশয় কাটাতে স্তম্ভের উপরে প্রথমে থাকছে টিনের জাল। তার পরে থাকছে পাট জাতীয় আস্তরণ। তারও পরে থাকবে টব।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, এর রক্ষণাবেক্ষণ কতটা নিয়মিত করা সম্ভব? কী ভাবে, কখন প্রতিটি টবে জল দেওয়া হবে সেটা সব থেকে বড় বিষয়। সেই সমস্যা মেটাতে এক ধরনের সেন্সর লাগানো হচ্ছে। টবে জল কমে এলেই সেন্সর সঙ্কেত পৌঁছে দেবে নির্দিষ্ট স্থানে। সুইচ টিপলেই নির্দিষ্ট টবে জল পৌঁছে যাবে। আলাদা করে কাউকে জল দিতে হবে না।
বিদেশে এই ধরনের উল্লম্ব বাগিচার প্রচলন যথেষ্ট। সেই ধাঁচেই নিউ টাউনে এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হচ্ছে বলে এনকেডিএ জানিয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হবে স্তম্ভের গায়ে টবের মেলা। নিউ টাউনে নারকেল বাগান মোড়ের কাছে এই কাজ চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, নিউ টাউনকে সবুজ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে গেলে প্রশাসনের তরফে যেমন একাধিক পরিকল্পনা কার্যকর করা প্রয়োজন। তেমনই বাসিন্দাদেরও উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। নিজের নিজের এলাকার সবুজ রক্ষায় সকলের অংশগ্রহণই প্রকল্পের বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে জানাচ্ছেন এনকেডিএ-র এক কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy