মর্মান্তিক: তপসিয়া ইস্ট রোডের এই জায়গাতেই মৃত্যু হয় শেখ আরিয়ানের। শুক্রবার সন্ধ্যায়। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
মা-বাবার সঙ্গে দোকান থেকে দিদির জন্য ওষুধ কিনে ফেরার পথে পিক-আপ ভ্যানের ধাক্কায় সাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েছিল তিন বছরের শিশুটি। তার পরে সেই গাড়ির চাকাতেই পিষে গেল সে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার তপসিয়া ইস্ট রোডে, একটি মাজারের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম শেখ আরিয়ান। এ দিন ওই ঘটনার পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পিক-আপ ভ্যানটিকে অবশ্য ধরা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির বাবা শেখ জামশেদ ও মা রেহানা বিবি পেশায় কাগজকুড়ানি। তাঁদের চার সন্তানের মধ্যে আরিয়ানই ছিল সব চেয়ে ছোট। আদতে সোনারপুরের বাসিন্দা হলেও প্রগতি ময়দান থানা এলাকাতেই থাকেন তাঁরা। শেখ জামশেদের ছোটবেলার বন্ধু শেখ কলিম এ দিন জানান, ওই দম্পতির মেয়ে, আট বছরের রুকসানা খাতুনের শরীরটা বিশেষ ভাল ছিল না। তার জন্যই শেখ জামশেদ সাইকেলে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে প্রথমে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। ডাক্তার মেয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দেন। এর পরে সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি ফিরে সেই ওষুধ কিনতেই ফের বেরিয়েছিলেন তিন জন। ফেরার পথেই ঘটে দুর্ঘটনা।
শেখ কলিম বলেন, ‘‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ প্রগতি ময়দান থানা এলাকার লয়োলা স্কুলের কাছে মাজার সংলগ্ন তপসিয়া ইস্ট রোড ধরে যাচ্ছিল ওরা তিন জন। হঠাৎই পিছন থেকে একটি পিক-আপ ভ্যান বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে সোজা সাইকেলে ধাক্কা মারে। ধাক্কার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, আমার বন্ধু ও তার স্ত্রী সাইকেল থেকে রাস্তার বাঁ দিকে ছিটকে পড়ে। কিন্তু আরিয়ান পড়েছিল রাস্তার ডান দিকে। ওই পিক-আপ ভ্যানটাই ওকে পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায়।’’
পুলিশ জানায়, এ দিন ওই দুর্ঘটনার পরেই শিশুটিকে দ্রুত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, সে আর বেঁচে নেই
রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, তখনও রাস্তায় রক্তের দাগ লেগে। চোখের সামনে অতটুকু একটি শিশুকে ওই ভাবে মারা যেতে দেখে ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, ওই রাস্তা দিয়ে প্রায়ই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলে। তাই রীতিমতো প্রাণ হাতে করে রাস্তা পারাপার করতে হয় তাঁদের। এ দিনও সেই বেপরোয়া গতিরই মাসুল দিল একরত্তি
একটি শিশু। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, স্পিড ব্রেকারের সামনে সাইকেলের গতি কমিয়েছিলেন শেখ জামশেদ। সম্ভবত তখনই গাড়িটি
ধাক্কা মারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy