প্রতীকী ছবি
তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় একদল দুষ্কৃতীর আক্রমণে মাথা ফাটল এক ব্যক্তির। আহত আরও কয়েক জন। যাঁর মাথা ফেটেছে, তিনি পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যের স্বামী। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা সকলেই তৃণমূল আশ্রিত। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লিলুয়ার কোনা হাই রোড চত্বর। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি দোকান। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূলের এক নেতার মদতে দীর্ঘদিন ধরে কোনা রোডের মোড়ে তোলাবাজি চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। কোনও গুমটি বা ডালা বসাতে গেলে অথবা এলাকায় জমি-বাড়ি কেনাবেচা করতে গেলে ওই দুষ্কৃতীদের ‘নজরানা’ দিতে হত। আরও অভিযোগ, তাদের মদতেই চলছিল চোলাই মদ থেকে মাদক বিক্রি। রাত বাড়লে ওই তোলাবাজদেরই কেউ কেউ সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়া ট্রাক-লরি থেকে তোলা তোলে বলেও অভিযোগ ছিল।
সম্প্রতি এর প্রতিবাদ করেন চামরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ঊর্মিলা বারুই ও তাঁর স্বামী তপন বারুই। এ নিয়ে বালি-জগাছা গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের বাসিন্দা ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁদের গোলমাল বাধে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ঊর্মিলার লোকজন এক জন তোলাবাজকে মারধর করলে সে দলবল নিয়ে এসে পাল্টা আক্রমণ করে। দু’পক্ষে হাতাহাতিতে মাথা ফাটে তপনবাবুর।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় কোনা মোড়ে। কয়েকটি গুমটি-দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। লিলুয়া থানা থেকে বিরাট বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামলায়। ঊর্মিলা বলেন, ‘‘তোলাবাজির প্রতিবাদ করেছিলাম বলে এ ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলা যাবে না।’’ ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের বালি-জগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি সুভাষ রায় বলেন, ‘‘কেন এই ঘটনা, দলগত ভাবে খতিয়ে দেখছি। দলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy