প্রতীকী ছবি।
এক প্রৌঢ়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন এবং স্ত্রীকে অবহেলার অভিযোগ আনলেন আত্মীয়েরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, খবর পেয়ে তাঁরা পৌঁছলেও দীর্ঘক্ষণ দরজা বন্ধ থাকায় এবং পুলিশ দরজা না ভাঙায় বাড়িতেই পড়েছিলেন ওই প্রৌঢ়া। পরে সন্ধ্যা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। নিউ আলিপুর থানার ‘বি’ ব্লকের ঘটনা। যদিও পুলিশের দাবি, তারা ঘটনাস্থলে গেলেও মহিলার স্বামী তাদের ঢুকতে দেননি। ফলে কারও বাড়িতে জোর করে তারা ঢুকতে পারে না। আর ওই প্রৌঢ়া যে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন, তেমন কোনও খবরও তাদের কাছে ছিল না।
কী ঘটেছিল? মৃতা সোমদত্তা চক্রবর্তীর (৫৩) এক আত্মীয়া জানান, গত ১৬ অক্টোবর সকালে তাঁকে ফোন করেন সোমদত্তার মা। বৃদ্ধা জানান, তাঁর মেয়ে কিছু ঘটিয়েছেন। কিন্তু কী, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। কারণ তাঁর মেয়ে-জামাই ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছেন। ওই আত্মীয়া আরও জানান, সব শুনে তাঁর মামা তথা সোমদত্তার ভাইয়েরা ৩৮, ব্লক ‘বি’ নিউ আলিপুরে পৌঁছন এবং ১০০ ডায়ালে ফোন করে জানান। খবর পেয়ে আসে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ, সোমদত্তার স্বামী দরজা না খোলায় পুলিশ সেটি ভাঙেনি। অভিযোগ, পুলিশ দরজা ভেঙে ঢুকলে ঠিক সময়ে সোমদত্তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেত। সে ক্ষেত্রে তিনি বেঁচেও যেতে পারতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই প্রৌঢ়া একসঙ্গে অনেক ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। মৃতার পরিজনেদের থেকে পুলিশ জেনেছে, এপ্রিলেও একই ভাবে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন সোমদত্তা। তবে বেঁচে গেলেও তাঁকে ডাক্তার দেখানো হয়নি বা কাউন্সেলিং করানো হয়নি বলে অভিযোগ।
যদিও স্ত্রীকে অবহেলার বা পুলিশকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোমদত্তার স্বামী। তিনি জানান, ছ’বছর আগে এক বার সোমদত্তা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্য্যার চেষ্টা করেন। সে সময়ে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছিলেন। এপ্রিলের ঘটনাটি তিনি নিজেই মিটিয়ে নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন সোমদত্তার স্বামী। তাঁর দাবি, তাঁর স্ত্রীর আত্মীয়দের অভিযোগ মিথ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy