চিৎপুর ইয়ার্ড।
টালা সেতু ভাঙা হলে যানজট কাটাতে চিৎপুর ইয়ার্ডে রেললাইনের উপরে লেভেল ক্রসিং তৈরির পরিকল্পনা করেছে রেল ও রাজ্য। কিন্তু সেই ক্রসিং তৈরির ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেয়নি রেল। সূত্রের দাবি, কেন এবং কোথায় লেভেল ক্রসিং তৈরি করা হবে সে ব্যাপারে গত ২৪ ডিসেম্বর কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছিল রেলবোর্ড। তা পাঠিয়েছেন রেলকর্তারা। কিন্তু তার পরে এখনও সেই ছাড়পত্র আসেনি।
তবে রেলের একটি সূত্রের আশ্বাস, বর্তমানে জরুরি কারণ ছাড়া রেলবোর্ড লেভেল ক্রসিং তৈরির অনুমোদন দিতে রাজি হয় না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে টালা সেতু পুনর্নির্মাণ এবং তার জেরে যানজটের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ছাড়পত্র মিলতে পারে। তাই লেভেল ক্রসিং নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। ছাড়পত্র এলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।
টালা সেতুতে আপাতত ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ। সেতুর উপর দিয়ে বাস চলছে না। সেগুলিকে ঘুরপথে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সেতু ভাঙার আগে লেভেল ক্রসিং তৈরি করতেই হবে।
পুলিশের একাংশের মতে, শহরে পণ্য সরবরাহ এবং বাণিজ্যিক কারবার যথাযথ রাখতে বি টি রোড অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কলকাতামুখী পণ্যবাহী গাড়ি বি টি রোড, শ্যামবাজার হয়ে পোস্তা, বড়বাজারে ঢোকে। তাই টালা সেতু বন্ধ হয়ে গেলে শহরে পণ্যবাহী গাড়ির প্রবেশে সমস্যা তৈরি হবে। বেলগাছিয়া সেতুর হাল খারাপ হওয়ায় সেই সেতু দিয়েও পণ্যবাহী ভারী গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে শহরে পণ্যবাহী গাড়ি পাঠানো কার্যত অসম্ভব। এর আগে তা করতে গিয়ে প্রবল যানজট হয়েছে। তাই চিৎপুর এলাকায় লেভেল ক্রসিং একান্ত জরুরি।
পুলিশ সূত্রের খবর, চিৎপুর রেল ইয়ার্ডের ভিতরে একটি নুনের গুদাম রয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র গুদামে পৌঁছনোর একটি লাইন এবং চক্ররেলের আপ ও ডাউন লাইন রয়েছে। ফলে ট্রেনের যাতায়াত কম হয়। রাত সাড়ে আটটার পরে চক্ররেল চলে না। তার ফলে সেখানে লেভেল ক্রসিং তৈরি করা সুবিধাজনক বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, রাতে ও ভোরে ট্রেন চলার জন্য পণ্যবাহী গাড়ি আটকাবে না। ওই জায়গাটি পরিদর্শনও করেছেন পুলিশ, পরিবহণ ও রেলের কর্তারা। প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, দিনের বেলাতেও ঘন ঘন চক্ররেল চলে না। তাই প্রয়োজনে দিনের বেলাতেও ওই রাস্তা দিয়ে ছোট গাড়ি চালানো যাবে।
অনেকেই অবশ্য বলছেন, এ নিয়ে নানা টালবাহানা সেই পুজোর পর থেকেই চলছে। এখনও কোনও মীমাংসা করা যায়নি। তার ফলে দুর্বল সেতুও ভাঙা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি আর কত দিন চলবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy