উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ। নিজস্ব চিত্র
বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী সংরক্ষণে বন দফতরের নজরদারি চলছে গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তথা রাজ্য জুড়ে। তা সত্ত্বেও বন্ধ হচ্ছে না লুপ্তপ্রায় প্রাণী পাচার। দিন কয়েক আগে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একটি সিংহ-শাবক ও তিনটি বাঁদর পাচারের সময়ে বন্যপ্রাণ অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়েছিল তিন পাচারকারী। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ। গ্রেফতার হয়েছে দুই পাচারকারী। তাদের নাম গৌর প্রামাণিক ও সঞ্জয় দাস।
বন দফতর জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বারাসত থানার সুভাষপল্লিতে হানা দেন বন্যপ্রাণ অপরাধ দমন শাখা এবং বন দফতরের বারাসত ডিভিশনের আধিকারিকেরা। দুই তদন্তকারী সংস্থার কাছে খবর ছিল, এ দিন গাড়িতে ওড়িশা থেকে বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ প্লাস্টিকের বাক্স করে নিয়ে আসা হবে বারাসতে গৌর প্রামাণিক নামে এক জনের বাড়িতে। সেখান থেকে তা কলকাতার বিভিন্ন বাজারে পাচার করা হবে।
ভোর থেকে নজরদারি চালিয়েও গাড়ির দেখা না পাওয়ায় সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। তখন তাঁরা জানতে পারেন, অন্য পথ দিয়ে গৌরের বাড়িতে গাড়িটি এসেছে। তার পরেই সেখানে হানা দিয়ে ৬৭টি কচ্ছপ উদ্ধার করে বন দফতর। জেলা রেঞ্জ আধিকারিক সুকুমার দাস জানান, হাতেনাতে ধরা হয় গৌর ও সঞ্জয়কে। ধৃতদের বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের জেল হেফাজত দেন।
প্রসঙ্গত, কচ্ছপ বিক্রি রুখতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বাজারে হানা দেওয়া শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এর পরে হানা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন জেলা রেঞ্জ আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy