চাঁদনির দোকানে ফোন সারাতে এসেছিলেন অভিযুক্ত। —ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই চক্রী কলকাতার চাঁদনি চক মার্কেটে মোবাইল সারাই করতে এসেছিলেন। এমনটাই জানা গিয়েছে এনআইএ সূত্রে। ইতিমধ্যে এনআইএর তদন্তকারীরা সেই দোকান থেকে ঘুরেও গিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দোকানের কর্মচারীদের। শনিবার ওই দোকানের এক কর্মী আব্দুল সংবাদমাধ্যমে জানান, যে ফোনটি তাঁদের কাছে সারাই করতে দেওয়া হয়েছিল, তা ঠিক করা যায়নি।
দোকানের কর্মীদের ধৃত দু’জনের ছবি দেখানো হলে তাঁদের মধ্যে এক জনকে তাঁরা চিনতে পারেন। জানান, গত ১২ মার্চ ওই ব্যক্তি ফোন সারাতে তাঁদের দোকানে এসেছিলেন। আব্দুল বলেন, ‘‘এক জনই এসেছিলেন আমাদের দোকানে। মোবাইলের অডিয়োতে সমস্যা হচ্ছিল। শব্দ হচ্ছিল না। আমরা বেশ কিছু ক্ষণ মোবাইলটি পরীক্ষা করে দেখি। ঠিক করার চেষ্টা করি। কিন্তু কাজ হয়নি। ওঁকে বলেছিলাম, এক দিনের জন্য মোবাইলটি আমাদের দোকানে রেখে যেতে। তাই করেছিলেন। কিন্তু পরের দিনও মোবাইল সারানো যায়নি। তাই ব্যক্তিকে মোবাইলটি ফেরত দিয়ে দিই পরের দিন সকালে। তার পর আর কেউ আসেননি।’’
চাঁদনি চকের দোকানটিতে বিকেল ৪টে নাগাদ এসেছিলেন অভিযুক্ত। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন আব্দুল। তিনি আরও জানান, যে মোবাইলটি তাঁদের দেওয়া হয়েছিল, তাতে কোনও সিম কার্ড ছিল না। তাই সারানোর সময়ে নিজেদের সিম মোবাইলে লাগিয়ে তাঁরা ফোন করে দেখেছিলেন। সেখান থেকেই তদন্তকারীরা দোকানের সন্ধান পান বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তার কিছু দিনের মধ্যে ওই দোকানে ফোন আসে এনআইএর।
ওই দোকানে সিসি ক্যামেরাও ছিল। কিন্তু তাতে ২৫ দিনের বেশি পুরনো ছবি না থাকায় ওই ব্যক্তির দোকানে আসার ফুটেজ পাওয়া যায়নি। মোবাইল সারানোর জন্য অভিযুক্ত চাঁদনি চকের দোকানে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন আব্দুল। তাঁর কথায়, ‘‘মোবাইলটি দোকানে রেখে উনি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। আওয়াজের সমস্যা মিটেছে কি না দেখতে তাই আমরা নিজেদের সিম মোবাইলে ভরে ফোন করে দেখি। পরের দিন মোবাইল নিতে উনি আবার এসেছিলেন। তার পর এনআইএ আধিকারিকেরা আসেন আমাদের দোকানে। আমাদের যা যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, যতটুকু মনে করতে পেরেছি, বলেছি। তদন্তে সহযোগিতা করেছি।’’
বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম মূল দুই অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আবদুল মাথিন তাহাকে শুক্রবার দিঘার হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনআইএ এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়েছেন তাঁরা। রাতেই তাঁদের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy