প্রতীকী ছবি
তারা ভারতে ঢুকেছিল বৈধ নথিপত্র নিয়েই। কিন্তু পরে আধার কার্ড তৈরি করেছিল অবৈধ উপায়ে। এমনকি, বাংলাদেশের একাধিক যুবককে ভারতে ঢুকিয়ে বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেওয়া এবং এ দেশের নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। বদলে নিয়েছিল মোটা টাকা।
এমনই নানা অভিযোগে সোমবার পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা। ধৃতদের নাম মহম্মদ হামিদ রানা এবং মহম্মদ আরিফ। তাদের থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে আসল ও ল্যামিনেট করা আধার কার্ডের প্রত্যয়িত কপি, প্যান কার্ড তৈরির নথি, একাধিক মোবাইল ও সিম কার্ড। মঙ্গলবার ধৃত দু’জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়। সরকারি কৌঁসুলি তারকনাথ মণ্ডল এবং স্নেহাংশু ঘোষ জানান, বৈধ নথি নিয়ে এক মাস আগে ভারতে প্রবেশ করে রানা ও আরিফ। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্য। এ দেশে প্রবেশের পরেই তারা নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড তৈরি করিয়ে নেয়। প্যান কার্ড পাওয়ারও আবেদন জানায়। নিউ টাউনের একটি রিয়্যাল এস্টেট সংস্থার কর্মী হিসেবেও তারা পরিচয়পত্র তৈরি করিয়েছিল।
জানা গিয়েছে, এর পরের ধাপে একে একে বাংলাদেশের নাগরিকদের এ দেশে ঢোকাতে শুরু করে রানা ও আরিফ। কারণ, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ বা উপসাগরীয় দেশগুলিতে চাকরি পাওয়ার তুলনায় ভারত থেকে ওই সব দেশে চাকরি পাওয়া সুবিধাজনক। সে কারণে বাংলাদেশের নাগরিকদের এখানে আনিয়ে তাঁদের ভারতের নাগরিকত্বের জাল নথি তৈরি করানো হত। বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেওয়া এবং এ দেশের নাগরিকত্বের প্রমাণ তৈরি করিয়ে দেওয়ার অজুহাতে তাঁদের থেকে মোটা টাকা নিত রানা ও আরিফ। কৌঁসুলিরা এ দিন জানান, বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার একটি চক্র রয়েছে এখানে। অভিযুক্তেরা সেই চক্রের সদস্য। কারা তাদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড পেতে সাহায্য করছে, এই চক্রে আরও কারা জড়িত— এই সব বিষয়ে জানার জন্য ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান গুন্ডা দমন শাখার অফিসারেরা। তাই তাদের ২৩ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেওয়া হোক। আবেদনের ভিত্তিতে রানা ও আরিফকে ২১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy