অনাহূত: নাগেরবাজার উড়ালপুলের এক পাশে বেড়ে উঠছে গাছ। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরে রাজ্যের প্রায় সব সেতু এবং উড়ালপুলেই নজরদারি শুরু হয়েছিল। কলি ফিরেছিল সেগুলির। সাফ হয়েছিল আগাছা।
বছর ঘোরেনি। নজরদারির অভাবে ফের আগাছা জন্মাতে শুরু করেছে উড়ালপুলে। পোস্তায় নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরে নজর পড়েছিল নাগেরবাজার উড়ালপুলেও। একদফা সাফসুতরো হয়েছিল সেটি। উড়ালপুল দিয়ে ভারী যান চলাচল আটকাতে বসেছিল হাইটবার। সেটি অক্ষত থাকলেও উড়ালপুলের দু’দিকে এবং বাইরে আবার বাড়ছে আগাছা। সেতুর মাঝামাঝি বেড়ে উঠছে একটি অশ্বত্থ গাছও।
এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এর আগেও ওই একই জায়গায় অশ্বত্থ গাছ ছিল। তার শিকড় মাটির গভীরে চলে গিয়েছে। এর ফলে সেতুর স্বাস্থ্যহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধান জানান, সেতুর আগাছা তাঁরও নজরে এসেছে। তিনি বলেন, ‘‘শীঘ্রই আমরা ওটা উপড়ে ফেলার ব্যবস্থা করব। যাতে ফের আগাছা জন্মাতে না পারে।’’
বেলগাছিয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যশোর রোডের এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিমানবন্দর এলাকাকে কলকাতার একটি প্রবেশদ্বার হিসেবেই ধরা হয়। অনেক রুটের বাস ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। লরি-সহ প্রচুর যানবাহনও চলাচল করে যশোর রোড দিয়ে।
নাগেরবাজার থেকে আরও একটি রাস্তা গিয়েছে দমদম স্টেশনের দিকে। সেই রাস্তাতেও সব সময়ে লেগে থাকে গাড়ির ভিড়। যার জন্য নাগেরবাজার মোড়ে তেমাথায় যানজট ছিল প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। সেই সমস্যার সমাধানে বছরখানেক আগে তৈরি হয় নাগেরবাজার উড়ালপুল। এর পরে যশোর রোডের যান-যন্ত্রণা অনেকটাই কমে।
কিন্তু ওই উড়ালপুল ঘিরে প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল। রাতে উড়ালপুলের উপরে মদের আসর বসা এবং ভারী লরি চলাচল নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন এলাকার মানুষ। সেতুর উপরে অসামাজিক কাজকর্ম নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা। তার পরে পুলিশি নজরদারিতে তা কমে।
অভিযোগ, গভীর রাতে উড়ালপুল দিয়ে ভারী লরি চলাচল বেড়ে যেত। মাঝেরহাট উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরে নাগেরবাজার সেতু দিয়ে ভারী লরি চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে তা বন্ধ করা যায়নি। দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধান বলেন, ‘‘আমরা পূর্ত দফতর এবং পুলিশকে বারবার বলার পরে সেতুর দু’দিকে হাইটবার বসেছে। ফলে এখন ভারী লরি যাতায়াতের সমস্যা নেই। তবে আগাছার সমস্যার সমাধান আমরা নিশ্চয়ই করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy