— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যে একাধিক জটিলতায় ২০১৯ সাল থেকে ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন বা নথিভুক্তকরণের কাজ আটকে ছিল। সরকার স্বীকৃত বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে নমুনা পরীক্ষা করানোর পরেও একটি মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বৈধ ই-রিকশা উৎপাদকেরা পণ্য বিক্রি করতে অথবা সরকারি বিধি মেনে নথিভুক্ত করতে পারছিলেন না। সেই জটিলতা কেটে যাওয়ায় সম্প্রতি পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন এক নির্দেশিকা জারি করে জরুরি ভিত্তিতে ই-রিকশার নথিভুক্তকরণ সম্পূর্ণ করতে বলেছেন। সরকারের রাজস্ব আদায়ের কথা বিবেচনা করেই পরিবহণ দফতরের এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।
অনেকটা অটোর মতো দেখতে ব্যাটারিচালিত ই-রিকশা সরকার স্বীকৃত। ওই রিকশা নির্দিষ্ট পারমিট এবং লাইসেন্সের ভিত্তিতে বিক্রি করা হয়। স্বীকৃত সংস্থার মাধ্যমে বিশেষ রুট অনুযায়ী চালকদের ন্যূনতম ১০ দিনের প্রশিক্ষণ সাপেক্ষে তার লাইসেন্স এবং পারমিট দেওয়া হয় বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
যে সব সংস্থা পদ্ধতি মেনে তাদের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে ই-রিকশা উৎপাদন করবে, তাদের নিয়ে সরকারের আপত্তি নেই বলে সূত্রের খবর। তবে, গ্রাম ও শহরে স্থানীয় ভাবে তৈরি টোটো উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলায় সরকার চিন্তিত। আধিকারিকদের একটি অংশের মতে, রাজ্যে ১০ লক্ষের বেশি টোটো চলছে। বহু ক্ষেত্রেই উৎপাদনের নির্দিষ্ট মান বজায় না রেখেই যন্ত্রাংশ জুড়ে তৈরি হচ্ছে ওই সব টোটো। অবৈধ নির্মাতাদের বিরুদ্ধে সরকার আগে অভিযান শুরু করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
আধিকারিকদের বিশেষ দল গড়ে তাই টোটো চিহ্নিত করতে চায় পরিবহণ দফতর, জানিয়েছেন দফতরের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। টোটো নথিভুক্ত করতে পোর্টালের কথা বিবেচনা করছে সরকার। যেখান থেকে বিশেষ কিউ আর কোড দেওয়া হবে। তিন-চার মাসের মধ্যে সেই কাজ সম্পূর্ণ করতে চায় পরিবহণ দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy