সিপিএমের বিভিন্ন গণ সংগঠনের তরফে আগামী কাল, রবিবার ব্রিগেড ময়দানে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। ছুটির দিন হলেও ওই দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় মিছিল এবং সমাবেশের জেরে কলকাতার বিভিন্ন অংশে যানজটের আশঙ্কা করছে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দিন সকাল থেকে সাতটিরও বেশি বড় মিছিলের আসার কথা ব্রিগেডে। ওই সব মিছিলের জন্য সংগঠকদের তরফে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন, পার্ক সার্কাস ময়দান, খিদিরপুর মোড়, ভিক্টোরিয়া হাউস, এক্সাইড মোড়-সহ আটটি জায়গায় জমায়েতের পরে বামকর্মীরা মিছিল করে ব্রিগেডে যাবেন। এ ছাড়া, ছোট ছোট একাধিক মিছিলের আসার কথা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আর তাতেই পুলিশের অনুমান, ওই সব ছোট-বড় মিছিলের জেরে বিক্ষিপ্ত ভাবে শহরের বিভিন্ন অংশে বন্ধ হয়ে যেতে পারে যান চলাচল। তাতেই ছুটির দিনে রাস্তায় বেরোনো সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হতে পারে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই সমাবেশ উপলক্ষে কয়েকটি প্রধান বড় মিছিল মূলত হাওড়া স্টেশন, ব্রেবোর্ন রোড, রবীন্দ্র সরণি, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, ধর্মতলা হয়ে ব্রিগেডে যাবে। আবার শিয়ালদহ থেকে এ জে সি বসু রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড, ধর্মতলা হয়ে ব্রিগেডে যাবেন সমাবেশে আসা দলীয় কর্মীরা। এর ফলে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, আশুতোষ মুখার্জি রোড, রেড রোড, পার্ক স্ট্রিট, জওহরলাল নেহরু রোড, এ জে সি বসু রোড, সিআইটি রোডে বিক্ষিপ্ত ভাবে যান চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
যদিও লালবাজার জানিয়েছে, ছুটির দিনে শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকবে ট্র্যাফিক পুলিশের অতিরিক্ত বাহিনী। এর মধ্যে ১৩টি জায়গায় ট্র্যাফিক গার্ডের এক জন অতিরিক্ত এসি-র নেতৃত্বে বাহিনী থাকবে। তারা মূলত যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবে বলে পুলিশের দাবি। তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাইয়ের মতো অবশ্য সমাবেশের আগের রাত থেকে বাহিনী রাস্তায় থাকবে না বলেই পুলিশের একাংশ জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, পুলিশ বাহিনী রবিবার ভোর থেকে ব্রিগেড সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু করবে।
এরই সঙ্গে ব্রিগেড সমাবেশে আসা গাড়ি রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন জেলার গাড়ি কোথায় থাকবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে
বলে পুলিশ জানিয়েছে। ময়দান এলাকায় গাড়ি পার্কিং ছাড়া এ জে সি বসু রোড, মেয়ো রোডের মতো কিছু রাস্তায় গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ওই দিন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)