—ফাইল চিত্র।
এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য উৎপাদন আগামী দু’বছরের মধ্যে বন্ধ করতে হবে। ‘প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুলস, ২০১৬’-এ কিছু নিয়ম সংযোজনের ক্ষেত্রে ফের তার উপরেই গুরুত্ব দিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ, অরণ্য ও জলবায়ু মন্ত্রক। কী ভাবে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ কমানো যায়, কী ভাবে তা সংগ্রহ করা যায় এই সব দিকগুলি স্পষ্ট করতেই প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইনে কিছু সংযোজন করা হচ্ছে। সেই ‘ইউনিফর্ম ফ্রেমওয়ার্ক ফর এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসারস রেসপন্সিবিলিটি’-র খসড়ায় প্লাস্টিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবাইকে কী কী দায়িত্ব পালন করতে হবে, মন্ত্রক তা স্পষ্ট করেছে।
মন্ত্রক সূত্রের খবর, বহু দিন ধরেই বর্তমান আইনের সংযোজন করার পরিকল্পনায় কমিটিও তৈরি হয়েছিল। কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে ওই কমিটি। তার ভিত্তিতে ‘গাইডলাইন ডকুমেন্ট’ তৈরি হয়েছে। তাতে আছে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী ও পণ্যের মালিক সকলকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্ব নিতে হবে। এই পণ্য ব্যবহারের পরে কী ভাবে ফের তা বাজার থেকে সংগ্রহ করা যায়, তা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করতে হবে। স্থানীয় পুর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘সংযোজিত আইনটি চালু হলে উৎপাদনকারী বা উৎপাদক সংস্থার কাছে কিছু তথ্য রাখতে হবে। সেগুলি হল কারা কারা প্লাস্টিক সরবরাহে যুক্ত এবং সেই প্লাস্টিক দিয়ে ব্যাগ, শিট নাকি কভার তৈরি হচ্ছে।’’
তবে স্থানীয় পুর প্রশাসনেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কর্তাদের। কারণ, পুর সাফাইকর্মীরাই বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করেন। সুতরাং বাড়িতেই যদি বর্জ্য পৃথক করা না-হয়, তবে প্লাস্টিক বর্জ্যের সমাধান হবে না
বলেই অনুমান।
কেন্দ্রীয় পরিবেশ, অরণ্য ও জলবায়ু মন্ত্রক জানাচ্ছে, প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের থেকে আগে অনুমতি নিতে হবে। মন্ত্রক সূত্রের খবর, পর্ষদকেও অনুমোদন দেওয়ার আগে কিছু জিনিস খতিয়ে দেখতে হবে। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘আবেদনকারী প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিং বা প্রসেসিং ইউনিটের যদি ওয়াটার (প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অব পলিউশন) অ্যাক্ট ও এয়ার (প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অব পলিউশন) অ্যাক্ট অনুযায়ী বৈধ ছাড়পত্র, সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্র না থাকে, তা হলে তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy