প্রতীকী ছবি।
শহরের সমস্ত উড়ালপুল ও সেতুতে ট্রাম চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল রাজ্য সরকার। যার ফলে কলকাতায় ট্রামলাইনের একটি বড় অংশই এখন পড়ে আছে অব্যবহৃত অবস্থায়। সেই অব্যবহৃত ট্রামলাইনের মেরামতি না হওয়ায় ওই সমস্ত রাস্তায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে শহরের ২৪টি রাস্তা থেকে অব্যবহৃত ট্রামলাইন তুলে ফেলার অথবা ঢেকে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে লালবাজার। সম্প্রতি পথ নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনার পরে শহরের ওই ২৪টি জায়গার ট্রামলাইন তুলে ফেলতে বা ঢেকে দিতে রাজ্যের পরিবহণ সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন কলকাতার ডিসি (ট্র্যাফিক) অরিজিৎ সিংহ।
সূত্রের খবর, বছরখানেক আগে রাজ্য সরকারের তৈরি করা বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছিল, ট্রাম চলাচল করার ফলে আয়ু কমে যাচ্ছে বিভিন্ন উড়ালপুল ও সেতুর। তাই উড়ালপুল ও সেতু থেকে ট্রামলাইন তুলে
ফেলার সুপারিশ করেছিল তারা। ওই কমিটির পরামর্শ মেনে শিয়ালদহ উড়ালপুল ও বেলগাছিয়া সেতু-সহ বিভিন্ন সেতু এবং উড়ালপুলে ট্রাম চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, শহরের বেশ কিছু
রাস্তায় সংস্কারের কাজের জন্য এমনিতেই বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রামলাইন। পুলিশের বক্তব্য, এই সমস্ত কারণেই শহরের বহু এলাকায় ট্রামলাইন এখন পড়ে আছে অব্যবহৃত অবস্থায়। সেই অব্যবহৃত ট্রামলাইনে কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বেআইনি পার্কিং লট, কোথাও বা তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যার জেরে ঘটছে দুর্ঘটনা।
পুলিশের তরফে পরিবহণ ভবনে পাঠানো তালিকায় বেলগাছিয়া সেতু থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, এ পি সি রায় রোড, এ জে সি বসু রোড, সিআইটি রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, ওয়েলিংটন থেকে মৌলালি, রবীন্দ্র সরণি, অরবিন্দ সরণি ও ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত অব্যবহৃত ট্রামলাইন তুলে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মৌলালি থেকে জগৎ সিনেমা পর্যন্ত ট্রাম বন্ধ রয়েছে অনেক দিন। আবার এ পি সি রায় রোডে ট্রাম চলাচল বন্ধ গত তিন বছর ধরে। একই ভাবে, উল্টোডাঙা ও সিআইটি রোডে ট্রাম বন্ধ রয়েছে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই সমস্ত ট্রামরাস্তা তুলে ফেলা বা ঢেকে দেওয়া হলে গাড়ির গতি বৃদ্ধি পাবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy