সুখেন্দুশেখর রায়। —ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার রাত থেকে তৃণমূলের অনেক নেতাই মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু একেবারে উল্টো মেরুতে চলে গিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা বাংলার শাসকদলের মুখপত্রের সম্পাদক সুখেন্দুশেখর রায় ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি বুধবার রাতের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। যুক্তি হিসেবে সুখেন্দুশেখর জানিয়েছিলেন, তিনি এক জন মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু। তাই তিনি মনে করেন, এই সময়ে প্রতিবাদে শামিল হওয়াটা জরুরি। সমাজমাধ্যমে করা সুখেন্দুর ওই পোস্ট নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তাতেও পিছু হটলেন না প্রবীণ এই সাংসদ। নিজের মতো করে বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদ কর্মসূচি সারলেন তিনি।
দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে নেতাজি মূর্তির সামনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ধর্নায় বসেছিলেন সুখেন্দুশেখর। তার পাশে ছিলেন এলাকার নাগরিকেরা। সুখেন্দুশেখর বলেন, “আমি আমার মতো করে প্রতিবাদ করেছি। আমি কোনও প্রচার চাই না। আমি এক জন প্রচারবিমুখ লোক।” যদিও তৃণমূলের অনেকেই সুখেন্দুশেখরের এই অবস্থানকে দলের বিরুদ্ধে ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সুখেন্দুশেখরের এই ভূমিকাকে ভাল ভাবে নেননি।
রাজনীতিতে কোন দল কী বলছে, সংশ্লিষ্ট দলের রাজনৈতিক লাইন কী, তা নির্ধারিত হয় সেই দলের মুখপত্র এবং তাঁর সম্পাদক কী বলছেন তা দেখে। কিন্তু আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদে যে নাগরিক ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে তাতে তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকের সমাজমাধ্যমের পোস্ট এবং তৃণমূলের অবস্থানে বৈপরীত্য আছে বলেই মনে করেছেন অনেকে, যা শাসকদলের জন্য একেবারেই ভাল নয়।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালেও তৃণমূলের মুখপাত্রের প্রভাতী সংখ্যায় রাত দখলের আন্দোলনকে তুমুল কটাক্ষ করা হয়েছে। যদিও, সেই মুখপত্রের সম্পাদক নিজেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ব্যক্তিগত ভাবে ধর্নায় বসেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy