এর আগে জয়ন্তী অভিযোগ তুলেছিলেন, সব গোলমালের নেপথ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজু সেনশর্মার ভূমিকা রয়েছে। কর্মীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজুর বক্তব্য, ‘‘এটা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করব না। আমার সম্পর্কে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দলকেই যা বলার বলব।’’
প্রতীকী ছবি।
শপথ নেওয়া শেষ হতে না হতেই প্রকাশ্যে দলীয় কোন্দল শুরু হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভায়। পর পর দু’বার তৃণমূল কর্মীদের নিজেদের মধ্যে গোলমাল বেধেছে। এমনকি, ঘটনা থানা পর্যন্তও গড়িয়েছে। যা নিয়ে শাসকদলের দুই কাউন্সিলরের তরজাও প্রকাশ্যে এসেছে।
এ বার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দমদমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের একাংশ অভিযোগ করেন, নির্বাচনে দলকে জেতানো থেকে শুরু করে নানা পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তাঁরাই পরিশ্রম করেন। অথচ, আজ তাঁদেরই ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে। এমনকি, তাঁদের বিরুদ্ধে থানার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমেও অভিযোগ জানানো হচ্ছে। তাঁদের দাবি, যাঁরা দলবিরোধী কাজকর্ম করেছেন কিংবা বিজেপিকে সাহায্য করেছেন, তাঁদেরই সঙ্গে নিয়ে চলছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়ন্তী সাহা। যদিও এ বিষয়ে জয়ন্তীর বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি নিয়ে দলের সঙ্গে, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁদের নির্দেশ অনুসারেই কাজ করব।’’
দলীয় সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় ওই ওয়ার্ডে জড়ো হয়ে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। সেই বিক্ষোভের প্রচার করতে ‘ফেসবুক লাইভ’ও করা হয়। আর তাতেই গোটা ঘটনাটি অন্য মাত্রা পায়। বিক্ষুব্ধদের এক জন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা অভিজিৎ দেবনাথ। অভিজিৎ-সহ স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর অনুগামী। দলের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই।
তাঁদের মূল অভিযোগ, যাঁরা অতীতে দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন ও বিজেপিকে সর্বতো ভাবে সাহায্য করেছেন, এমনই কর্মীদের নিয়ে কাউন্সিলর চলছেন। কিন্তু ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ তাঁরা মানবেন না। তাঁদের দাবি, নির্বাচনে কাউন্সিলরের জয়ের নেপথ্যে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরই হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, দলীয় নেতৃত্বকে লিখিত ভাবে অভিযোগ না জানিয়ে ফেসবুক লাইভ করা হল কেন? এতে কি কোন্দলের বিষয়টি আরও বেআব্রু হয়ে পড়ল না? অভিজিতের দাবি, ‘‘এটা ঠিকই যে, দলকে লিখিত ভাবে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে কাউন্সিলর যে ভাবে কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, তার প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতেই ফেসবুক লাইভ করেছি।’’
এর আগে জয়ন্তী অভিযোগ তুলেছিলেন, সব গোলমালের নেপথ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজু সেনশর্মার ভূমিকা রয়েছে। কর্মীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজুর বক্তব্য, ‘‘এটা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করব না। আমার সম্পর্কে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দলকেই যা বলার বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy