প্রতীকী ছবি।
কোন্দল থামছে না দক্ষিণ দমদমে। গত মার্চ মাসে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণের পরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। শনিবার সকালে ফের সেই একই অভিযোগ উঠল। এক তৃণমূলকর্মীকে মারধর ও তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ জানানো হয়েছে নাগেরবাজার থানায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে অপর এক দল তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধেই। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যেই নিজের দলের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই কার্যত অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়ন্তী সাহা।
জয়ন্তীর অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডের একটি স্কুলে জল এবং বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যা হচ্ছিল। সে কথা জানার পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশে বিদ্যুতের সমস্যা মেটানোর পরে এ দিন তিনি সেখানে জলের সমস্যার সমাধান করতে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি, ওই স্কুলের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে যান তিনি। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পথেই তাঁর সঙ্গে থাকা দলীয় কর্মী কাশীনাথ মালাকার এবং আরও এক কর্মীর উপরে চড়াও হন তৃণমূলেরই এক কর্মী ও তাঁর দলবল।
ওই কাউন্সিলরের অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই কর্মী একটি বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়ান, যাদের মধ্যে একাধিক জনের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট চালানো, এলাকার দখল নেওয়া-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টির নেপথ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজু সেনশর্মার ভূমিকা রয়েছে বলেও দাবি জয়ন্তীর। সেই কারণে ওয়ার্ডে কাজ করার ক্ষেত্রে জয়ন্তী বার বার সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ।
তবে এই অভিযোগ খারিজ করে রাজু জানান, অভিযুক্ত দলেরই এক জন সক্রিয় কর্মী। তবে তাঁর অনুগামী কি না, তা জানা নেই। রাজুর কথায়, ‘‘যে সমস্ত কর্মী ওই কাউন্সিলরকে জয়ী করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করলেন, কী এমন হল যে তেমনই এক কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে হচ্ছে! প্রশাসনকে বলেছি, অভিযোগ পুরোপুরি খতিয়ে দেখতে। তা হলেই সত্যিটা সামনে আসবে।’’
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে রাজুর জবাব, ‘‘এ বিষয়ে দলকেই যা বলার বলব। এ নিয়ে মুখ খুলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy